পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২৪৬

ছিভৌপাখ্যান মালা । sછેઃ গুরুত্ত ছিল । সেই অবস্থায় কাতর প্রাণে বাস্থ উত্তোলন করিয়া বার২ প্রার্থন করিয়াছিল। এক দিন রাত্রিতে তাছার অস্তিম কাল উপস্থিত ছয়, তৎকালীম মৃত্যু যন্ত্রণায় সে অস্থির থাকে । প্রাতঃকালে যখন প্রাণ বিয়োগ হইতেছিল, এক ব্যক্তি ষে তাহার শুশ্রষায় নিযুক্ত ছিল, সে তখন সেই মুমুম্বুকে প্রফুল্প বদনে গদগদ স্বরে এই কথা বলিতে শুনিল * যে কেহ প্রেমময়ের দ্বারে আঘাঁত করিয়াছে, তাছার জন্য দ্বার উন্মুক্ত হইয়াছে । ” . প্রার্থী স্থির প্রকৃতি ও সহিষ্ণু হইবেন। প্রকৃত প্রার্থনা কখন বিফল হয় না। যদি কোন প্রিয় বস্তু না পাইয়া তুমি ক্ষুব্ধ হইয়া থাক, অন্যতর প্রিয় বস্তু তোমুর হস্তগত হইবে। কটুক্তি শুনিয়া বিষ হইও না, অন্যবিধ শীতল বারিতে তোমার মনের অগ্নি নিৰ্ব্বপিত হুইবে । যাহার সৌন্দর্ঘ্যের তুলনা নাই, সামান্য কারণে তাছার বিৰুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করিও না । ষণস্থাকে ছাড়িয়া জীবন ধারণ করিতে পরিবে, শুদ্ধ তাহাকেই হৃদয় ছইতে দূরে রাখতে পার । ৩ একদা এক ভপোধন সমুদায় রাত্রি ঈশ্বর সাধন করিয়া প্রাতঃকালে করপুটে আশীৰ্ব্বাদ প্রার্থী হইয়াছিলেন । তখন স্বৰ্গীয় দূত র্তাহার কর্ণে এই কথা বলিল “ মনোরথ সফল হইল না, নিৱত্ত ছও, আপন ভাবনা যাইয়া ভাব, তোমার এই প্রার্থন গৃহীত হইবার নয়। এই ক্ষণ বিষন্ন বদনে প্রস্থান কর, অথবা এখানে থাকিয়া ব্লথ অগর্তনাদ কর । * তপস্বী তাহাতে ভয়োদ্যম হইলেন না। অন্য রজনীতেও পরমেশ্বরের ধ্যান মনন ও গুণকীৰ্ত্তনে নেত্রকে বিশ্রাম দিলেম না । এক শিষ্য এই ব্যাপারের তত্ত্ব রাখিত, সে বলিল “ যখন দেখিলে তোমার প্রতি দ্বার উন্মুক্ত হইল না, তখন আর অনর্থক ক্লেশ কেন স্বীকার কর । ” এতৎ শ্রবণে ঋষি নেত্রমীরে মুখমণ্ডল অভিষিক্ত করিয়া বলিলেন “ বৎস ! ইছ মনে করিও না যে তিনি থাকিব । যদি এই পথ ব্যতীত অন্য পথ দেখিতে পাইতাম, তৰে নিরাশ হইয়। ফিরিয়া যাইবার বিষয় ছিল। যখম কোন প্রার্থী কোন দ্বারে বিমুখ হয়, তখন তাছার কি দুঃখ, যদি অন্য দ্বার দেখিতে পায়। సిఫి