পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$g' প্রথম অধ্যায় ? সিংহাসন প্রান্ত চুম্বন ও ভূমিতে মন্তক নত করিয়া নিবেদন করিলেন, “ রাজন। এই বালক এ. পৰ্যন্ত জীবনোদানের ফলভোগ করে নাই, ধেীবনের অস্বাদ প্রাপ্ত ছয় নাই। মহারাজের সদয় প্রকৃতি স্মরণ করিয়া প্রার্থনা করিতেছি যে এই দক্ষ পুভের প্রাণ দানে এ দাসকে কৃতজ্ঞতা খণে বদ্ধ কৰুম | রাঞ্জ। ইহা শ্ৰবণে বিরক্ত হইলেন এবং বলিলেন “ মন্ত্রিন্থ ! যাহার স্বভাবের ভূমি মন্দ সে সাধুতা প্রাপ্ত হয় না | অবলম্বন ব্যতিরেকে আকাশে প্রস্তর স্থাপনের যত্ন ও নীচ প্রকৃতিকে উন্নত করিবার যত্ন উভয়ই নিষ্ফল হয়। এই দুরাত্মাদিগকে সবংশে নিধন করাই শ্ৰেয়ঃ, অগ্নিকণ উপেক্ষ করিয়া অগ্নি নিৰ্ব্বাণ করা, সৰ্প শিশু পরিত্যাগ করিয়া সৰ্প বিনাশ করা বুদ্ধিমানের কার্য নহে। মেঘ অমৃত বারি বর্ষণ করিলেও ঝাউ বৃক্ষের ফল কখন খাইতে পাইবে না । অধমের প্রতি যত্ন করা বৃথা, নল তৃণ হইতে কদাপি শর্কর জন্মেল |’ অমাত্য উছা শুনিয়া রাজার বিবেচনাকে প্রশংসা করিয়া কছিলেন; “ প্রজনাথ ! আপনি যাছ আজ্ঞা করিলেন তাহ যথার্থ ও মদ যুক্তিপূর্ণ। কিন্তু যদি এই যুব অসৎ সংসর্গে থাকিয়া শিক্ষা পাইত, তাহ। হইলে সে তাছাদের এক জন হইত। ভরসা করি সাধু চরিত্র বিদ্বান লোকদিগের সহবাসে উগছাদের উপদেশ গ্রহণ করিবে, সাধু ও বিদ্বান হইবে। এ এখনও শিশু। দুৰ্ব্বত্তদলের অবাধ্য স্বভাব ইহাকে এ পর্যন্ত অধিকার করিতে পারে নাই ।” অতঃপর কতিপয় পারিষদ ও মন্ত্রিস্বরের এই উক্তির সঙ্গে যোগ দান করিলেন । তখন নরপতি অনেকের অনুরোধে দস্থ্যযুবার প্রাণ দানে সম্মত হইয়া বলিলেন “ আমি ইহাকে মুক্তি দিলাম, কিন্তু কাৰ্য্যটর ঔচিত্য স্বীকার করিলাম না । মহাবীর রেস্তমকে তাহার পিতা জাল কি বলিয়াছিল, জান ? বলিয়াছিল যে শক্রকে ক্ষুদ্র ও নিৰুপায় বিবেচনা করিবে না । বারবার দেখা গিয়াছে ষে ক্ষুদ্র জল প্রণালীর জল পরে বৃদ্ধি পাইয়। উষ্ট, ও উষ্টারোহীকে ভাসাইরা লইয়া গিয়াছে।” অন্তঃপর মন্ত্রী দসু্যপুস্ত্রকে গ্রহণ করিয়া লালন পালন করিতে লাগিলেন ।