পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিতোপাখ্যান মালা । Yኹ ভাছার শিক্ষার জন্য অধ্যাপক সকল নিযুক্ত করিয়া দিলেন। তাহার। তাছাকে সামাজিক ও রাজনীতি এবং অন্য অন্য ব্যবহারিক বিদ্যা শিক্ষা প্রদান করিল। এক দিন মন্ত্রী রাজ সভাতে বলিতে লাগিলেন “যে দৰ্ম্মপুত্র সচ্চরিত্র হইয়াছে, তাছার চিরকালের মূর্খতার স্বভাব চলিয়া গিয়াছে” রাজ এই কথা শ্রবণ করিয়া ঈষদ হাস্য পূর্বক বলিলেন “ ব্যাস্ত্র শাবক কিছু দিন মনুষ্য সহবাসে থাকিয় মনুয়া স্বভাব প্রাপ্ত হইলেও পরিশেষে ব্যাঘ্র স্বভাব ধারণ করিয়া থাকে । ” এইরূপে দুই বৎসর গত হইলে কতকগুলি প্রতিবেশী হ্রশচরিত্র লোক সেই দক্ষ্যপুত্রের সঙ্গে আসিয়া যোগ দিল ও বন্ধুতা স্বত্রে বদ্ধ হইল । সুযোগ মতে সেই দস্থ্য যুবা মন্ত্রী এবং মন্ত্রীর পুত্ৰকলত্রদিগকে হত্যা করিয়া উহার সমুদায় ধন সম্পত্তি লইয়া পলায়ন করিল, ও সেই পৰ্ব্বতে পৈতৃক ভূমিতে যাইয় অবস্থিতি করিতে লাগিল । রাজা ইহা শ্রবণ করিয়া খেদ করিলেন ও বুলিলেন “ অপক্লষ্ট লেহে কেমন করিয়া লোকে উৎকৃষ্ট করবাল প্রস্তুত, করিবে ? ৱষ্টি জলের উর্বরতা গুণের ব্যত্যয় কখন হয় না বটে কিন্তু লোণ ভূমিতে তৃণ এবং উদ্যানেতে লাল পুষ্প জন্মে। লোণ ভূমিতে তৰু কখন ফুলবান হয় না, তাহতে পরিশ্রমের বীজ নষ্ট করিও না ।” ১৭। অামি রাজ আগ লমসের ভবন-দ্বারে এক সেনাপতি পুত্রকে দর্শন করি। তাহার বুদ্ধি বিবেচনা ও. বিচক্ষণতার প্রশংসা করিয়া উঠা যায় না। বুলাকাল হইতেই তাহার ললাটে মহত্ত্বের লক্ষণ—সৌভাগ্যের নক্ষত্র প্রকাশিত ছিল। আন্তরিক ও বাহ্য সৌন্দর্ঘ্য ছিল বলিয়। সে নরপতির রূপ দৃষ্টি লাভ করে। পণ্ডিতের বলিয়াছেন যে “ ঐশ্বর্য ধনেতে নয়, মনেতে, মহত্ত্ব বয়সে ময়, জ্ঞানে । ” সহকারী রাজকৰ্ম্মচারীগণ উক্ত সেনাপতি পুত্রের পদোন্নতিতে ঈর্ষান্বিত হয়, তাছাকে কোন অপবাদ দেয় ওঁ তাছার প্রাণ সংহারের চেষ্টা করে ; কিন্তু কৃতকাৰ্য্য হইতে পারে না। পরম বন্ধু ঈশ্বর সহায় থাকিলে শত্র কি করিতে পারে? এক দিন রাজা তাছাকে ভুঞ্জাস। করিলেন “ তোমার সম্বন্ধে ইহুদিগের শক্ৰত কেন ?" সেনাপতি