পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিঙোপাখ্যান মালা । > y প্রেমানুরাগীর হৃদয়ে যেমন ধৈর্য স্থিতি করে ন, মৎস্য-বীগুরীতে যেমন জল বদ্ধ হয় না, তদ্রুপ বিষয়ানুরাগশূন্য লোকদিগের হস্তে সম্পত্তি কখন স্থিরতর থাকে ল । রাজ যখন বিষয়াস্তরে ব্যাপৃত ছিলেন, তখন সেই সন্ন্যাসী অগসিয়। আপনার অবস্থা জানাইল ও ধন প্রার্থনা করিল । তাছাতে নরপতি কুপিত ও বিরক্ত হইলেন । রাজ চরিত্ৰদশী অভিজ্ঞ লোকের বলিয়াছেন যে রাজ ক্ষমতা ও প্রতাপকে ভয় করিবে, নরপাল অনেক সময় রাজকাৰ্য্য পৰ্য্যালোচনায় অভিনিবিষ্ট থাকেন, সেই সময়ে লোকে গোলযোগ করিলে তিনি সুস্থির চিত্ত থাকিতে পারেন না । যে ব্যক্তি রাজার অবকাশ প্রতীক্ষা করে না, রাজার দান ভোগ কর। তাছার সম্বন্ধে অবৈধ । যে সময় তোমার কথ। বলিবার অধিকার মই, তখন রথ। বাক্য ব্যয় করিয়া তা পনার মানের হুগনি করি ও না । . তখন নরপতি বললেন এই “ নির্লজ্জ অমিতব্যয়ী সন্ন্যাসীকে দূর করিয়৷ দেও, সে স্বল্প দিনের মধ্যে এত ধিক ধন বিনষ্ট করিল, ইছা কি স্বামিহীন সম্পত্তি যে ঔদরিক ভিক্ষুকদিগের সাহারে আসিবে ? নিৰ্ব্বেধ লোকের অর্থ পাইলে মধ্য ছিক্ষ স্থৰ্য রশ্মিঙেই দীপমালা প্রজ্বলিত করে । হয়তো শীঘ্রই রজনীতে অর্থাভাবে তাছার দীপাধারে ভৈলের অভাব ছয় ।” তখন কোন এক মন্ত্রী নিবেদন করিলেন “ নরনাথ" পরামর্শ এই যে এবম্বিধ ব্যক্তিকে কিঞ্চিৎ দৈনিক রুত্তি নিরূপণ করিয়া দিন, তাহ। ইলে ক্রমশঃ ব্যয় করিবে । দূর করিয়া দেওয়া ও ভৎ সনা করা কখল Tউচিত নহৈ । এক বার এক জনকে দয়া দক্ষিণ্যে কৃতাৰ্থ করা পরে তাছাকে নৈরাশ্যে দুঃখিত করা কি উচিত ? কাহার আশার দ্বার উদঘাটন করিয়া পূনৰ্ব্বার ব্ৰুদ্ধ করিবেন না । কখন কেহু দেখে নাই যে ভ্রমণ কারী পিপাস্থগণ লবণাস্তুর নিকটে গমন করে, তৃষ্ণাৰ্ত্ত পশুপক্ষী মনুষ্যাদি জীব সুমিষ্ট জলাশয়ের তটেই উপস্থিত হয়। ” ২৬।