ছিভোপাখ্যাম মালা । තුළු গেল । সে বিকট চীৎকারে নিজের কণ্ঠ বিদীর্ণ করিল, ও আমার মন্তক হুইতে মস্তিষ্ক বাছির করিয়া মিল । অামি বলিলাম “ সখে ! তোমার উচিত যে আমাকে ভৎসন। মা কর । এ ব্যক্তির অলৌকিক ক্ষমত। অামার প্রতি প্রকাশ পাইয়াছে, এজন্য আমি ইহাকে এই পুরস্কার দিতে বাধ্য হইয়াছি। ’ বন্ধু বলিলেন “ ইছার মৰ্ম্ম জ্ঞাপন কর । ” আমি বলিলাম “ অধ্যাপক সেখ আঞ্জুন আবুওল ফরাহ সঙ্গীত শ্রবণে আমাকে পুনঃ পুনঃ নিষেধ করিয়াছেন ও এ বিষয়ে অনেক উপদেশ দিয়াছেন, তাহ আমার কর্ণে গ্রাহ্য হয় নাই। অদ্য এই স্থানে আমার ভাগ্য অনুকুল হুইয়াছে, এই গাথক দ্বার। আমি শপথ করিতে বাধ্য হইলাম । অবশিষ্ট জীবন আর সঙ্গীত সভার প্লার্থে যাইব না, সঙ্গীত প্রিয় লোকদিগের সঙ্গে সঙ্গীতে মত্ত হুইব না । ১ । • হুই যুব বন্ধু এক তরঙ্গাকুল নদীতে নিপতিত হইয়াছিল । নাবিক উদ্ধার করিবার জন্য এক জনের হস্ত ধারণের উপক্রম করিলে সে বলিল “ আমাকে ছাড়িয়া অগ্রে আমার প্ৰিয়বন্ধুকে রক্ষা কর ” ইহা বলিতে বলিতে সে প্রাণত্যাগ করিল। যে ব্যক্তি বিপদের সময়ে বন্ধুকে বিস্তৃত হয়, সেই মিথ্যাবাদীর নিকটে প্রেমের কাহিনী শ্রবণ করি ও না । ২ ।
কেতু এক ময়না পক্ষীকে এক কাকের সঙ্গে পিঞ্জরে বদ্ধ করিয়া রাখিয়ছিল। ময়না কুৎসিত কাকের সহবাসে সৰ্ব্বদা বিরক্ত থাকিত ও কাককে এরূপ বলিত “ তুই কি কদাকার, রণিত, কুৎসিত দৃশ্য, কুচরিত্র ! তোর সঙ্গে আমার পূর্ব পশ্চিমের ন্যায় প্রভেদ। প্রাতঃকালে উঠিয়া যে ব্যক্তি তোর মুখ দর্শন করে, তাহার সম্বন্ধে মুখের প্রভাত যেন দুঃখের সন্ধ্য। তোর ন্যায় যে হতভাগ্য, তার সঙ্গেই তোর থাকা শোভা পায়। কিন্তু তোর ন্যায় জীব পৃথিবীতে আছেই বা কে ?” আশচর্ষ্য যে কাকও ময়নার সহবাসে মনে কষ্ট পাইয়াছিল৯ও মছ! বিষম ছিল, ছি fছ ৰলিতেছিল, আৰ্ত্তনু দ করিতেছিল, আক্ষেপ করিয়া
