পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*:8 দ্বিতীয় অধ্যায় । দুই পা চাপড়াইতেছিল এবং বলিতেছিল “ছায় কি দুর্ভাগ্য, কি প্রতিকুল সময় ! এটাকি আমার সহবাসে থাকিবার উপযুক্ত ? ছায় ! উদ্যানের প্রাচীরে কাকের সঙ্গে কি ময়ন স্বত্য করিয়া বেড়াইবে ? দুশ্চরিত্রের সহবাসই সাধুর কারাগার । আমি কি অপরাধ করিয়াছি যে, বিধাতা তাছার দণ্ড স্বরূপ এরূপ নিৰ্ব্বোধ আত্মমতামুরাগী নীচ কুলোদ্ভব অনৰ্থভাষী জীবের সহবাস শৃঙ্খলে আমাকে বদ্ধ করিয়াছেন । ময়নার ছবি যে প্রাচীরে অঙ্কিত থাকে, সেই প্রাচীরের পাশ্বে কেছু আসিতে চায় না। রে ময়না ! তুই স্বর্গে গেলে, অন্য জীৰ স্বৰ্গ ছাড়িয়া নরকে যাইতে ইচ্ছা করে । ” - - এই দৃষ্টান্তটী .দ্বারা হৃদয়ঙ্গম হইবে যে বিজ্ঞ যেমন অবিজ্ঞের সহবাস ভ{লবাসেন না, অবিজ্ঞ ও তদ্রুপ বিজ্ঞকে ভালবাসে না । এক বৃদ্ধসাধু পুৰুষ কতকগুলি দুশ্চরিত্র যুবকের সহবাসে পড়িয়ছিলেন । সেই যুবক দলের এক জন তাছাকে বলিয়াছিল “ আমাদের সহবাসে তোমার মনে ক্লেশ হুইয়! থাকিলে বিরক্তি প্রকাশ করিও না । মনে করিও তুমিও আমাদের বিরক্তির কারণ । দেখ, আমোদ আহিলাদে আমাদের সকলের মুখমণ্ডল কুসুমের ন্যায় প্রফুল্ল, তুমি শুষ্ক দাৰুর ন্যায় আমাদিগের নিকটে বসিয়া রছিয়াছ। তুমি দুঃখকর শীত ঋতুর ন্যায় ও শীত কালীয় বরফের ন্যায় আমাদের অপ্রীতিকর।” ৩। এক দিবস যৌবন গৰ্ব্বে বহু দূরের পথ দ্রুতপদে চলিয়। রজনীতে কোন পর্বতমূলে ক্লান্ত হইয়। শয়ান ছিলাম। ইতিমধ্যে এক জরাদুৰ্ব্বল বণিক আসিয়া বলিলেন “ ওছে শুয়ে কেন ? ইছ শয়নের স্থান নয়। ” আমি বলিলাম “ কি প্রকারে চলিব, চলিবার ক্ষমতা নাই। " বৃদ্ধ বলিলেন “ দৌড়িয় ক্লান্ত হওয়া অপেক্ষা ধীরে গমন করা শ্রেয়ঃ ” হে গমহোৎসাছিল যুবক দুরের পথ দোঁড়িয়া চলিও না, আমার উপদেশ গ্রহণ কর ও ধীরগামী ছও। সবল অশ্ব কিয়দূর মাত্র বেগে চলিতে পারে,কিন্তু ধীরগতি উষ্ট দিবা রজনী বিশ্রান্ত চলিয়া থাকে। ৪।