পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্তোপাখ্যfম মালা । * \, ডোমার চিকিৎসার জন্য এক জন চিকিৎসক আহবান করিতে পারি। " এই কথা প্রবণে বৃদ্ধ প্রফুল্ল বদমে চক্ষু উীলন করিল। কৰ্ত্ত থাকিবেন মা, অট্টালিক শূন্য ছইতেছে, তথাপি কৰ্ত্ত অট্টাপিকাকে সজ্জিত করিবার জন্য ব্যস্ত। বৃদ্ধ মৃত্যু যন্ত্রণায় আৰ্ত্তনাদ করিতেছেন, তাছার ৱদ্ধ প্রণয়িনী শিরঃ পীড়া বলিয়া মন্তকে চন্দন রস ঢালিতেছেন, সংসারে এরূপ কত জাশ্চর্ঘ্য ব্যাপার হইতেছে। ১ । এক জন ৱন্ধের এক যুৱতী স্ত্রী ছিল। তিনি পুষ্পমালায় বাস ভবনকে সুশোভিত করিয়া প্রণয়িনীর সঙ্গে নির্জনে বসিয়া তপস্থাকে প্রসন্ন রাখিৰরি জন্য সৰ্ব্বদা মিষ্ট মিষ্ট কথা ৰলিতেন। এক দিন বলিতেছিলেন “প্রিয়ে ! তোমার সৌভাগ্য অমুকুল ও সম্পদের চক্ষু উল্মীলিত ছিল বলিয়াই এরূপ একজন রন্ধ স্বামী পাইয়াছ। কিনি পরিপক্ক বহুদশী, শান্ত প্রকৃতি সংসারের শীতোষ্ণতা ভোগ করিয়াছেন, শুভাশুভ পরীক্ষা করিয়াছেন ও যিনি সহবাসের মর্শ্ব জানেন, প্রণয়ের স্বত্ব পালন করেন, স্বেছাৰিত, অমুগ্রন্থকারী, প্রসন্ন চিত্ত, মিষ্টভাবী। অামি প্রাণপণে তোমার মনোরঞ্জন করব, তুমি ক্লেশ দিলেও তোমাকে ক্লেশ দিব না। যদি ময়ন পক্ষীর ন্যায় তুমি শর্কর ভোজন করিতে চাও, আমার এই মিষ্ট জীবনকে ভোগ করিতে দিব। বড় সৌভাগ্য ষে যুবকের হস্তে পড় নাই, যুবকেরা উগ্ৰম্বভাব, চঞ্চল, লর্দু প্রকৃতি, এক এক সময় এক এক ভাব ঘূরণ করে, মুহুর্মুহুঃ মত পরিবর্তন করে, তাছাদের প্রণয়ের স্থিরতা নাই, তাছারা এক স্থানে স্থিতি করে না। চতুর যুবকগণ কাছার, হিতৈষী নছে, তাহারা ভ্রমরের ন্যায় কেবল ঘুরিয়া বেড়ায় । কিন্তু বৃন্ধগণ বুদ্ধি ও নীতির অধীম হইয়া জীবন যাপন করেন। উtহার যুবকদিগের ম্যায় মুখতার দাস লছেন।" বৃন্ধ বললেন," এই সকল কথা বলার পরে মনে করিয়াছিলাম, কুৰি প্রিয়তমার হৃদয়কে বধিলাম, তাছাকে শিকার করিলাম। কিন্তু সে এই সমস্ত বাক্য শুনিয় দীর্ঘ নিখাল পারত্যাগ করিল এবং বলিল তুমি যত কথা বলিলে, আমার বুদ্ধিরূপ তুলা যন্ত্রে তাহার একটরও গুৰুত্ব নাই। কেহ বলিয়াছেন যে যুবতীর