পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fহতোপাখ্যান মীলা । to &ই মসজিদের অনেক জন প্রাচীন লাজ দায়ক আছেন। উহার প্রত্যেকে পাচ টাকা পাইয় থাকেন, আমি তোমাকে দশ টাকা দিতেছি, তুমি অন্যত্র চলিয়া যাও ।” অপজা দাতা তাহাড়েই সম্মত হুইয়া চলিয়া গেল । কিয়ৎকাল পরে সে সেই ধমবানেরমিকটে অসিয়া বলিল “মহাশয়! আপনি দশ টাকা দান করিয়া আমার ক্ষতি করিয়াছেন, এই ক্ষণ যে মসজিদে জাজ দিতেছি, সেই মসজিদের অধ্যক্ষ অন্যত্র গমনের জন্য আমাকে বিশ টাকা দিতে চাচ্ছেন্ন আমি সম্মত হই নাই ।” ধনী বলিলেন “সাবধান ! যে পর্যন্ত পঞ্চাশ টাকা দান না করে সন্মত হুইবে ন৷ ” ৭ । কোন কঠোর কণ্ঠ পুৰুষ উচ্চৈঃস্বরে কোরণ পড়িত । এক দিন এক ভদ্র লোক তাছাকে জিজ্ঞাসা করিল যে “ তোমার বেতন কত ? ” সে বলিল “ যৎকিঞ্চিৎ।” তাছাতে তিনি বলিলেন “ এই সামান্য বেতনের ভূন্য কেন এত দূর পরিশ্রম স্বীকার কর ? ” পাঠক উত্তর করিল “ ঈশ্ব রের নামে পাঠ করি, বেতন তাম্প তাছাতে ক্ষতি কি ? ” তিনি বলিলেন “ আমি ঈশ্বরের নামে বলিতেছি, তুমি কোরণ পড়িও না । ভুমি কোরাণ পাঠ করিলে মুসলমান ধর্মের সৌন্দৰ্য বিনষ্ট হইবে। ৮। কয়েক জন ভারতবর্ষীয় পণ্ডিত স্বপ্রসিদ্ধ রাজা নওর্সেরওয়ার প্রধান মন্ত্রী বোজচর্চমেহুেরের চরিত্রসম্বন্ধে আলাপ করিতেছিলেন, ভঁtছদের বিচারে ওঁ হাতে গুণ ভিন্ন দোষ দুষ্ট হয় না । কেবল এই একটী মাত্র দোষ লক্ষিত ছয় যে তিনি বিলম্বে কথা বলেন, র্তগছার কথা শ্রবণের জন্য শ্রোতাকে অনেক প্রতীক্ষণ করিতে হয়। ইছ শ্রবণ করিয়া বোজবচমেছের বলিলেন - হঠাৎ বলিয়া লজ্জিত হওয়া অপেক্ষ কি বলা কৰ্ত্তব্য এরূপ চিম্ভ। করিয়া বলা শ্লেয়ঃ । ” - বাক্যকুশল প্রবীণ লোকের অগ্ৰে চিন্তা করেন, পরে কথা বলেন । সম্বক্ত হইলেও ভুমি চঞ্চল ভাবে কোন কথা বলিঃ না। কিঞ্চিৎ বিলম্বে বল তাছাত্তে ক্ষতি নাই । চিস্ত কর ও তৎপর কথা বল, লোকে শ্রবণে মুনিস্থ প্রকাশ করার পূৰ্ব্বে তুমি বচনে ক্ষান্ত ছও । মনুষ্য বাকু শক্তি গুণেই