পাতা:হিতোপাখ্যান মালা.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিতোপাখ্যাম মালা। te কেন্থ উহাকে বলিল যে “তুমি কেন বসিয়া আছ ? এানগরে অমুক ব্যক্তি অত্যন্ত দয়ালু ও দামশীল, তিনি দুঃখী লোকের মনোবাঞ্ছা পরিপূরণে ও দরিদ্র সজ্জনদিগের সেবার জন্য প্রস্তুত রছিয়াছেন। তোমার যেরূপ হীৰাবস্থা তদ্বিষয়ে তিনি অবগত হুইলে অর্থ সাহায্য করিয়া তোমার উপকার করিতে আপনাকে কৃতাৰ্থবোধ করিবেন।” দরিদ্র বলিলেন “ভ্রাতঃ ! ক্ষান্ত হুগু, কাছার নিকটে যাচএণ করা অপেক্ষ দরিদ্রতার কষ্ট বহন করা ভাল । ধনীর নিকটে বস্ত্রের জন্য আবেদন লিপি প্রেরণ করা অপেক্ষ। ছিন্ন বস্ত্র পরিধান করা সুখকর ৷ ৩ ৷ পারস্য দেশীয় কোন রাজা এক সুবিচক্ষণ চিকিৎসককে আরব দেশে ঘুর্থপ্রবর্তক মহাত্মা মহম্মদের নিকটে পাঠাইয়াছিলেন। বৈদ্যরাজ কয়েক বৎসর তথায় অবস্থান করেন, কিন্তু একটাও রোগী চিকিৎসার্থ উপহার ন্নিকটে আগমন করে না, কেছই ঔষধ চাহে মা । চিকিৎসক সেই মহা পুৰুষের নিকটে যাইয়া নিবেদন করিলেন “ জাৰ্য্য ! আপনার ধৰ্ম্মবন্ধুদিগের চিকিৎসার জন্য এ দাস জাপমার চরণে প্রেরিত হইয়াছে, এতদিম কেন্থই এরূপ অনুগ্রহ করিলেম না, আমার প্রতি যে সেৰার ভার আছে, ভাছ আমি সম্পাদন করিতে পারি। ” মছাত্মা মহম্মদ বলিলেন “এ সকল লোকের একটা প্রকৃতি এইযে যেপৰ্যন্ত ক্ষুধা প্রবল না হয়, ভোজন করে না, ও ক্ষুধা সম্পূর্ণ নিৰ্বত্ত না হইতেই আহারে নির্ভ হয়।” ভিষক বলিলেন “ ইছাই, এরূপ স্বাস্থ্যের কারণ ৷ ” অনন্তর উগছাকে প্রণাম করিয়া তিনি স্বদেশে চলিয়া গেলেন। ৪ । ` - আরব দেশের কোম চিকিৎসককে কেহ জিজ্ঞাসা করিয়াছিল যে প্রতি দিন কি পরিমাণ জমাছার করা কর্তব্য । তিনি বলিলেন “ প্রায়ত্রিশ তোলা পরিমাণ ভক্ষণ করা শ্ৰেয়ঃ।” পুনৰ্ব্বার জিজ্ঞাসা করিল “ ইছাতে কি শরীরে বল ছইতে পারে ?” বললেন “ এই পরিমাণেই তোমাকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখিবে, ইতোধিক ভক্ষণ করিলে ভারগ্রন্ত হইবে । ” . .