পাতা:হিন্দুজাতি; তাহার বর্ত্তমান অভাব ও তাহার কর্ত্তব্য.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ১২ )

পদে থাকিতে পারিয়াছিলেন। এখন আর সেরূপ থাকিবার যো নাই। এখন পৃথিবীর বহুল দেশে সভ্যতার আলোক বিকীর্ণ হইয়াছে এবং ঘটনা বশতঃ সেই সকল আলোক কিরণ এই ভারতবর্ষে—আমাদের গৃহাভ্যন্তরে—আসিয়া প্রকাশ পাইতেছে। জ্ঞান-ধর্ম্ম-সমুন্বত হিন্দুগণ চিরাস্বাদিত সভ্যতার সেই সকল প্রতিভাপুঞ্জ যেমন দেখিতেছেন; অমনি তাহার মর্ম্ম বুঝিতে সমর্থ হইতেছেন এবং কেহ বা তাহা গ্রহণ করিতে ব্যস্ত হইতেছেন। এই সময়ে, হিন্দুগণ! আর এক স্থানে সংস্থিত হইয়া। থাকিতে পার না। হয় অগ্রসর হও, নতুবা পশ্চাদ্বর্ত্তী হইতে হইবে। পশ্চাদ্বর্ত্তী হইয়াও সচ্ছন্দে থাকিতে পরিবে না, ঘরে বাহিরে সহস্র প্রকারে আঘাত ও নির্যাতন সহ্য করিতে হইবে। উদ্ভিদের বর্দ্ধন পক্ষে এই রূপ এক নিয়ম দেখা যায় যে, সে যদি আপনার মস্তকোপরি রৌদ্রের উত্তাপ প্রাপ্ত হয়, তাহা হইলে সে সেই উর্দ্ধ দিকেই উত্থিত হইতে থাকে এবং সুস্থ সবল ও সরল শরীরে শাখা পল্লবে সুশোভিত হয়। কিন্তু যদি আপনার মস্তকোপরি সূর্য্য-রশ্মি প্রাপ্ত না হয়, তাহা হইলে চতুষ্পার্শ্বের আর যে দিকে তাহা প্রাপ্ত হয়, সেই দিকেই সে বক্রভাবে উত্থিত হয় এবং যথাকথঞ্চিত রূপে সেই সূর্য্য কিরণ গ্রহণ করিয়া, কতকঅংশে বিশুদ্ধ কতক অংশে প্রফুল্লিত, এইরূপ বিকলাঙ্গ লাভ করে। ঠিক ইহাই এখন হিন্দু-সমাজের অবস্থা। হিন্দুগণ! তোমরা যদি তোমাদের সমাজের উন্নতি সাধন না কর, যদি ইহার নিমিত্ত তোমাদের হৃদয় মন চেষ্টা ও যত্ন