পাতা:হিন্দুজাতি; তাহার বর্ত্তমান অভাব ও তাহার কর্ত্তব্য.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ১৩ )

প্রযুক্ত না হয়, তাহা হইলে তোমরা অকর্ম্মণ্য হইয়া কেবল পরপ্রত্যাশী ও পরভাগ্যোপজীবী হইবে। তাহা হইলে সুখ স্বচ্ছন্দতার অন্যে যে আদর্শ প্রদান করিবে তাহাই তোমাদের শিরোধার্য্য হইবে;—আর তাহা হইলে ইহাও জানিবে যে, সেই অন্য দেশীয়—অন্য জাতীয় উন্নতির আদর্শ উদ্ভিদের পার্শ্ববর্ত্তী আলোকের ন্যায় তোমাদিগকে কেবল বিকলাঙ্গ করিবে—কখনই সুস্থ ও প্রকৃতিস্থ হইতে দিবে না—কখনই যথার্থ উন্নত হইতে দিবে না। ইহার উদাহরণ এখনই সহস্ৰ সহস্ৰ লক্ষিত হইতেছে। অনেকে বিজাতীয় সভ্যতা দর্শন করিয়া তল্লাভার্থ নিতান্ত লোলুপ হইতেছেন। তাঁহারা উন্নতি বলিয়া এমন কিছু গ্রহণ করিতেছেন, যাহা হিন্দুদিগের চিরকালের রুচি-বিরুদ্ধ; তাঁহারা মঙ্গলকর বলিয়া যাহা মনে করিতেছেন, হিন্দুগণ হয়ত বহুকালের পরীক্ষা দ্বারা তাহা নিশ্চয় অমঙ্গলকর বলিয়া জানিয়া রহিয়াছেন। এই জন্যই, যাঁহারা সেই সকল আদর্শকে আপনাদেরও সমুদায় হিন্দুদিগের আদর্শ করিতে চান, তাঁহারা হিন্দুদিগের পক্ষে বিকৃত-দর্শন ও গর্হণীয় হইয়া উঠিতেছেন। পরে এরূপ উদাহরণ আরো কত দেখা যাইবে, তাহার আশ্চর্য্য নাই। এমন অবস্থায় হিন্দুগণ! কোন্‌ দিকে গমন করিবেন? কেমন করিয়া আপনাদের উন্নতির স্পৃহা চরিতার্থ করিবেন? কি রূপে সমাজের শান্তি রক্ষা ও মঙ্গল বিধান করিবেন? ইহার নিমিত্ত আপনারা চিন্তা আলোচনা ও সর্ব্ব প্রযত্নে চেষ্টা করুন্‌, নতুবা আপনাদের পরস্পরের মধ্যে মতের ও ভাবের