পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুষািনল । &* কৱিৰ” । “তাহাই করিব’ বলিয়া রাজা ঔশীনর তুলা যন্ত্রের” একদিকে কপোতকে বসাইয়া অন্যদিকে আপন হন্তে আপন দেহ হইতে মাংস কাটিয়া রাখিলেন। কপোত মাংসাপেক্ষা ভারি হইল। তখন আপন হস্তে আপন দেহ হইতে আর এক খণ্ড মাংস কাটিয়া মাংসের উপর রাখিলেন। তথাপি কপোত মাংসাপেক্ষা ভারি হইল। তখন আপন হস্তে আপন ছোেহ হইতে এক এক খণ্ড করিয়া অসংখ্য মাংস খণ্ড কাটিলেন-তথাপি কপোত মাংসাপেক্ষা ভারি হইল। তখন সেই কঙ্কালাবশিষ্ট দেহ লইয়া রাজা ঔশীনার স্বয়ং তুলা-যন্ত্রে আরোহণ করিলেন। দেখিয়া শোনরূপী ইন্দ্র আপন রূপ ধারণ করিলেন, কপোতরূপী অগ্নি আপন রূপ ধারণ করিলেন, এবং রাজার অক্ষয় যশ ঘোষণা করিতে লাগিলেন । রাজাও ধৰ্ম্মপ্ৰভাবে স্বৰ্গমৰ্ত্ত উজ্জল করত দেপীপ্যমান দেহে স্বৰ্গে আরোহণ করি।-- লেন। কালে এই কথা ইউরোপে গমন করিল--এই রকমের অনেক কথাই ইউরোপে গমন করিয়াছে। কিন্তু ইউরোপে এ কথার এ আকারও রহিল না, এ প্রকারও রহিল না । ইউবোপা আপন দেহ হইতে মাংস কাটিয়া দিতে পারিল না—তাত কষ্ট, তত যন্ত্রণা কি সহা যায় ? ঔশীনরের আপন দেহের মাংস কাটিয়া দেওয়ার কথা শুনিয়া ইউরোপ * শিহরিয়া উঠিল । আর ভাবিল—এমন কি পরোপকার যে তজন্য এত কষ্ট এত যন্ত্রণ সহিতে হইবে, আর আপনার মাংস কাটিয়া দিয়া প্ৰাণটাকে নষ্ট করিতে হইবে ? ইউরোপ ঔশীনরের কথা ভাঙ্গিয়া, চুরিয়া ফেলিল। মাংস কাটিয়া প্ৰাণ, নষ্ট করিবার ভয়ে আইনের একটা কুটতর্ক তুলিয়া মাংস