পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88ኳም হিন্দুত্ব। বিরোধী। যাহা ধৰ্ম্মচৰ্য্যার বিরোধী তাহা আত্মারও বিরোধী। ইহার অপেক্ষা স্পষ্ট ও পরিষ্কার কথা বোধ হয়। আর কিছুই হইতে পারে না। এবং এই জন্যই আমাদের মহাজ্ঞানী ও সুক্ষ্মদৰ্শী শাস্ত্রকারের আহারকে ধৰ্ম্মের অন্তৰ্গত করিয়া গিয়াছেনি। অথবা শুধু ইহাই কেন বলি—সমস্ত আয়ুৰ্ব্বেদশাস্ত্ৰকে অর্থাৎ স্বাস্থ্যরক্ষা বিষয়ক সমস্ত শাস্ত্রকে ধৰ্ম্মশাস্ত্রের অন্তর্গত করিয়া প্ৰাতঃস্নান প্ৰাণায়াম প্রভৃতি স্বাস্থ্যবৰ্দ্ধক আচার ও প্রক্রিয়াগুলিকে আমাদের নিত্যধৰ্ম্মানুষ্ঠানের অতি প্ৰয়োজনীয় অঙ্গ করিয়া দিয়াছেন । কেহ কেহ বলিবেন যে, স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রাখিয়া অনেকেই আহার করিয়া থাকে। তবে আর হিন্দুর আহার সম্বন্ধে এত কথা কেন ? কথা এই জন্য যে অনেকে আহার করিয়া দেহের স্বাস্থ্যলাভ করিলেই আহার সম্বন্ধে সমস্ত কৰ্ত্তব্য করা হইল মনে করে। আহার দ্বারা মানসিক বিকার হই তেছে কি না তাহা বিবেচনা করিয়া দেখা আবশ্যক মনে করে। না। আহার করিয়া দেহের বল বাড়িলেই হইল—কামক্রোধাদি বাড়িল কি না তদ্বিষয়ে দৃষ্টি নাই, দৃষ্টি একেবারেই অনাবশ্যক। আহারে শরীরের পীড়া না হইলেই আহার উত্তম হইল, স্বাস্থ্যকর হইল ; আহারে মনের পীড়া হইল কি না তাহ দেখিবার দরকারই নাই, সে কথা মনে উঠিবেই বা কেন ? আহার সম্বন্ধে ইউরোপীয় প্রভৃতি জাতির এই সংস্কার। অতএব তাহারা স্বাস্থ্যকর আহারের পক্ষপাতী • হইলেও, তাহদের আহার্যতত্ত্ব হিন্দুর আহার্যতত্ত্ব হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেহের স্বাস্থ্যের নিমিত্ত আহার এবং দেহ ও মন