পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSvo श्नूिरु f অধিক সংখ্যক গাড়ি টানিয়া লইয়া যায়, তবে প্রথমোক্ত খানিকে দ্বিতিয়োক্তাপেক্ষা কম তেজসম্পন্ন বলিয়া মনে হয়। সেক্ষপীয়র যদি দুই খানি মাত্ৰ নাটক লিখিয়া যাইতেন তাহা হইল্লে তাহাকে এত বড় মনে হইত না । পৃথিবীতে অনেক পদাৰ্থ, অ্যাকাশে অনেক নক্ষত্র না থাকিলে মানুষের মনে অনন্তের ভাব উদয় হইত কি না বলিতে পারি না । বোধ হয় যেন জগৎ অনেক না হইলে, জগতে অনেক না থাকিলে মানুষের মনে অনন্তের ভাব উঠিত না । সেই অনেকে, অনন্তের, সেই অনন্তেঅনন্তের নামই তেত্ৰিশ কোটি দেবতা। তাই হিন্দুর তেত্রিশ কোটি দেবতা। মনে করিও না, সে তেত্ৰিশ কোটি দেবতা ভিন্ন ভিন্ন দেবতা-সকলে সেই এক অনন্ত পুরুষ নয়। যে হিন্দু প্রত্যেক দেবতাকে বলেন—তুমিই ব্ৰহ্মা, তুমিই বিষ্ণু, তুমিই মহেশ্বর, তুমিই দিবা, তুমিই রাত্ৰি, তুমিই সন্ধ্যা—সে হিন্দুর তেত্রিশকোটি দেবতার প্রত্যেক দেবতাই সেই এক অনাদি অনন্ত জগদীশ্বর-সে। হিন্দুর তেত্রিশকোটি দেবতার সকল দেবতাই সেই এক অনাদি অনন্ত জগদীশ্বরের এক একটা শক্তি-জীবনদায়িনী শক্তি, সৌভাগ্যদায়িনী শক্তি, বিদ্যাদায়িনী শক্তি, সিদ্ধিদায়িনী শক্তি, সন্তানদায়িনী শক্তি, সৃষ্টিকারিণী শক্তি, পালনকারিণী শক্তি, সংহারকারিণী শক্তি, ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি। জগদীশ্বরের জগৎ তাহার তেত্ৰিশ কোটি মূৰ্ত্তি গড়িলে অনেকুগুলি মূৰ্ত্তি যে ভীষণ, অনেকগুলি যে বিকীট, অনেকগুলি যে উগ্ৰ হইবে? হইলই বা । তাহাতে ক্ষতি কি, দোষ কি ? তুমি বলিবে, জগদীশ্বর প্ৰেমময়, অতএব শান্ত এবং