পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aev শাস্ত্রকারগণ কৰ্ম্মফল এবং জার্মান্তর দুইই মানিতেন। তাই তঁাহারা বর্ণ ও ব্যবসাভেদ প্ৰণালী স্বীকার করিয়াছেন। র্তাহারা জানিতেন যে গোড়ায় সকল মনুষ্যই এক-সেই এক ব্ৰহ্ম পদার্থ। কিন্তু তঁহারা এইরূপ বুঝিয়াছিলেন যে কৰ্ম্মগুণে মনুষ্যের স্বভাব বিভিন্ন হইয়া পড়ে এবং স্কুভাব বিভিন্ন হইলে, মনুষ্যের অবস্থার বিভিন্নতা অবশ্যম্ভাবী ধ্রুব, অনিবাৰ্য্য পদ্মপুরাণে এইরূপ লিখিত আছে :- ন বিশেষোহস্তি বৰ্ণানান সৰ্ব্বং ব্ৰহ্মময়ং জগৎ । ব্ৰহ্মণ পূৰ্ব্বসৃষ্টংহি কৰ্ম্মভিৰ্বর্ণতাৎগতম! বাস্তবিক বর্ণভেদ বলিয়া কিছুই নাই, কেন না। সমস্ত জগৎ ব্ৰহ্মময় ; এই জগৎ প্ৰথমে ব্ৰহ্ম কর্তৃক সৃষ্ট হইয়া পরে কৰ্ম্ম দ্বারা বর্ণভেদ প্ৰাপ্ত হইয়াছে। অর্থাৎ সকল মুনুষ গোড়ায় এক, কেবল কৰ্ম্মগুণে বিভিন্ন বর্ণান্তর্গত হইয়া, থাকে, অর্থাৎ জন্মান্তরে বিভিন্ন অবস্থা ও কৰ্ম্মক্ষেত্ৰ প্ৰাপ্ত হয়। এক জন্মের কৰ্ম্মের গুণে যাহার যেরূপ স্বভাব হয়, পর জন্মে সে সেই স্বভাবোপযোগী অবস্থা এবং কৰ্ম্মক্ষেত্র প্রাপ্ত হয়। ভগবদগীতায় শ্ৰীকৃষ্ণ অৰ্জ্জুনকে কহিতেছেন ঃ ব্ৰাহ্মণক্ষত্ৰিয়বিশাং শূদ্রনাঞ্চ পর্যন্তপ | কৰ্ম্মাণি প্রবিভক্তানি স্বভাব প্ৰভবৈগুণৈঃ।। (১৮অ-৪১) ব্ৰাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য ও শূদ্র এই চারি জাতির স্বস্ব স্বভাব সদ্ভুত গুণে কৰ্ম্ম সকল চারি ভাগে বিভক্ত হইয়াছে। কৰ্ম্মগুণে স্বভাব, স্বভাবের উপযোগী পদ, অবস্থা ঐবং ব্যবস্থা—ইহাই ত প্রকৃত ন্যায়, প্রকৃত বিচার, প্রকৃত সাম্য,