পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৮১

(ਲੁ VSVG দাম্পত্য-যোগ হইতে श्रृंक्लिऊ क्षेत्रद्धिक्षे কথা । তবেই কৰ্ম্মফলবাদ মানিতে হইলে পতি পত্নীর যোগ পূৰ্বলোকে থাকিতে পারে বলিয়া স্বীকার করা যায় না । কিন্তু যে একীকরণ বিবাহের উদ্দেশ্য পতি পত্নীর যদি যথার্থই সেই একীকরণ হয়, অর্থাৎ পতি পত্নীর যদি এক ধ্যান, এক জ্ঞান, এক রুচি, এক প্ৰবৃত্তি, এক কৰ্ম্ম, এক ধৰ্ম্ম হয় তবে কৰ্ম্মফল্যবাদানুসারেই তাহাঁর পরলোকে এক ফল প্রাপ্ত হইবে অর্থাৎ সেই পঁতিপত্নী রূপেই থাকিবে। এবং সেই জন্যই ত মনু প্রভৃতি শািন্ত্রকারুেরা ; বলিয়া থাকুন যে, যে স্ত্রী সম্পূর্ণরূপে স্বামীর অনুগামিনী হন তিনি ইহলোক ত্যাগ করিয়া, সেই স্বামীলোকেই গমন করেন। কৰ্ম্মফল্যবাদ বিবাহের পারলৌকিকত্ব নাশ করে না, দৃঢ় করে। বিবাহের পারলৌকিকত্ব কৰ্ম্মফলবাদের অবশ্যম্ভাবী ফল । সীতা নাকূিল রামচন্দ্রকে বলিয়াছিলেন—“পরলোকে যেন তোমারই মতন পতি পাই।” রবীন্দ্র বাবু বলেন যে দাম্পত্য সম্বন্ধ পরলোকব্যাপী হইলে, সীতা “তোমার মতন পতি পাই? এ কথা না বলিয়া “তােমাকেই পতি পাই,এই কথা বলিতেন অতএব হিন্দুর দাম্পত্য সম্বন্ধ য়ে পরলোকব্যাপী নয়, সীতার এই কথাটাও তাহার একটা প্ৰমাণ। কিন্তু রামচন্দ্রের প্রতি সীতার কথা, এই হিসাবে বিবেচনা করিলে—“তোমার মতন পতি পাই”—এ কথার “তোমাকেই পতি পাই” ইহা ভিন্ন আর কি অর্থ হইতে পারে ? রামচন্দ্র ভিন্ন রামচন্দ্রের মতন আর কে হইতে পারে ? সাধবী স্ত্রী মাত্রই আপন আপন পতিকে অতুলনীয় মনে করেন। অতএব সাধৰী স্ত্রী যদি পতিকে বলেন যে পর