পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o श्तूिड्सوt۴ | আপনি বিক্রয় করিত্যুেচুন ‘’ উচ্ছন্নমতি না হইলে, নিয়তির নিতান্ত অধীন না হই,এ সংসারে কে আপনাকে আপনি বিক্রয় করিয়া থাকে ? মৃগ আবার কখনও সোণা রূপার হইয়া, থাকে ? কিন্তু আজ সেই ভীষণ রাক্ষস সমরের দ্বারদেশে উপনীত কুটুম্বা, স্বয়ং লক্ষ্মী সীতা দেবী পণ্ডুঢ়ী বনে সােণার মৃগের জন্য লালায়িত, আর স্বয়ং বিষ্ণুরামচন্দ্ৰ ধনুৰ্ব্বাণ লইয়া সোণার মৃগ মারিতে ਚੋਜ সকল জীবনের মহানাটকের কথা। এত বড় কবি হইয়া রবীন্দ্ৰনাথ কেমন করিয়া মহাভারতের মহানাটকের এমন অর্থ করিলেন আমি ভাবিয়া পাই না। তবে তু তিনি এ কথাও বলিতে পারেন যে, নািলরাজা নিতান্ত অপ্ৰেমিক ও স্ত্রীজাতির প্রতি শ্রদ্ধাহীন বলিয়া নিবিড় অরণ্য মধ্যে নিতান্ত করুণা-প্ৰাথিনী কায়মনোবাক্যে একান্ত অনুগামিনী সেই অঙ্কশায়িত নিদ্রাভিভূত দময়ন্তীকে ফেলিয়া গিয়াছিলেন। আর মহাভারতের যে স্থান ইচ্ছা সেই স্থান খুলিয়া দেখা-দেখিবে হয় ভীষ্ম, নয় বিদূর, নয় ধৃতরাষ্ট্র, নয়। গান্ধাৱী,নয় পাণ্ডবগণ বলিতেছেন যে, কৌরবেরা দ্রৌপদীকে অপমান না করিলে এত তুমুল কাণ্ড হইত না ।

  • দেখা গিয়াছে যে হিন্দুবিবাহের প্রধান উদ্দেশ্য আধ্যাত্মিক এবং উহার যে সাংসারিক বা ব্যবহারিক উদ্দেশ্য আছে তাহা ঐ আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্যের অধীন। এই সিদ্ধান্তের বলে রবীন্দ্ৰ বাবুর প্রবন্ধের মেরুদণ্ড ভাঙ্গিয়া যাইতেছে। কারণ হিন্দু বিবাহের উদ্দেশ্য কেবলমাত্ৰ সাংসারিক এই সিদ্ধান্ত অবলম্বন করিয়া রবীন্দ্র বাবুর প্রায় সমস্ত কথাই লিখিত। অতএব হিসাব মত এই স্থানেই ঐ প্রবন্ধ শেষ হয়। তথাপি আরও গুটিকতক

”الحمیت ||