পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७b३ ॥ হিন্দুত্ব। কিন্তু শারীরিক সৌন্দর্ঘ্য কেবল শারীরিক সৌন্দৰ্য্য বলিয়া উপভোগ করলে মানুষ’ভৈাগপৃহা ও জড় প্রকৃতির দাস হইয়া পড়ে এবং তাহার নৈতিক উন্নতির পথ ক্ৰমে সন্ধীর্ণ হইয়া যায়। কিন্তু হিন্দুবিবাহের উদ্দেশ্য-নৈতিক ও আধ্যাত্মিক। অতএব শুদ্ধ শারীরিক রূপ দেখিয়া বিবাহ করিলে হিন্দুবিবাহের মহাস দুৰ্দিষ্ঠ বিফল হইবার কথা : এই জন্য শাস্ত্রকারেরা ব্যবস্থা করিয়াছেন যে, শাৰীরিক সৌন্দৰ্য্য মানসিক সৌন্দৰ্য্যের অভিব্যক্তি বলিয়ী শারীরিকু সৌন্দর্ঘ্য খুজিতে হইবে। মনু বলেন :- DDDDBDBD DBB BDBDD DBBBES DBBBDDBDS (9 उ°-8) দ্বিজগণ সুলক্ষণাক্রান্ত সবৰ্ণ স্ত্রী বিবাহ করিবেন। জ্ঞানীমাত্রেই এ ব্যবস্থার সারবত্তা স্বীকার করিবেন। আমাদের মধ্যে প্ৰায় সকল পিতা মাতারও সুন্দরী বউ করিবার সাধ। এবং জাতি কুল ঘর ও কন্যার সুলক্ষণাদির প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া যত সুন্দরী বধু পাওয়া যায়, প্রায় সকল পিতা মাতাই সেই চেষ্টা করিয়া থাকেন। কেবল পিতা মাতার প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা নাই বলিয়া এবং রূপ ছাড়া আর কিছুরই প্রতি শিক্ষিত যুবকদিগের লক্ষ্য নাই বঁলিয়া আজ কাল অনেকে পিতা মাতার ও কন্যা-নিৰ্বাচনে অসন্তুষ্ট এবং নিজে নিজে পচ্ছন্দ করিয়া বিবাহ করিবার জন্য উন্মত্ত। ইহা নৈতিক অবনতির লক্ষণ এবং নিৰ্বাচন প্ৰথা প্ৰবৰ্ত্তিত করিলে এই নৈতিক অবনতি ক্রমেই বাড়িয়া যাইবে। যাহাকে গৃহের লক্ষ্মীস্বরূপ প্ৰতিষ্ঠিত করিতে হইবে, তাহার শুধু রূপ দেখিলে চলিবে না। তাহার জাতি, কুল, ঘর ও সুলক্ষণাদিও বিশেষ করিয়া দেখা আবশ্যক।