পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্মের সার্বভৌমিকত ভারতের অন্যান্য প্রদেশের ধৰ্ম্মজীবন হইতে পৃথক থাকিবার আর একটি কারণ। সর্বপ্রধান কারণ এই ৷ যে, বঙ্গদেশ এখন পর্য্যন্ত যাহার সর্বের্বাচ্চ ভারতীয় । আধ্যাত্মিক সাধনের প্রতিনিধি ও ভাণ্ডারস্বরূপ, সেই । মহান সন্ন্যাসিসম্প্রদায়ের জীবন হইতে কখন শক্তিপ্রাপ্ত হয় নাই । বঙ্গের উচ্চবর্ণের ত্যাগ ভালবাসেন না, তাহাদের বোক ভোগের দিকে । তাহারা কিরূপে আধ্যাত্মিক বিষয়ে গভীর অন্তর্দিষ্টি লাভ করিবেন ? “ত্যাগেনৈকে অমৃতত্বমানশু:', (১) অন্যপ্রকার কিরূপে সম্ভব হইবে ? অপর দিকে, সমুদয় হিন্দীভাষী ভারতের মধ্যে ক্রমান্বয়ে অনেক সুদূরব্যাপিপ্রভাবসম্পন্ন মহা মহা ত্যাগী আচাৰ্য্যগণ বেদান্তের মত প্রতি গৃহে প্রবিষ্ট করাইয়া দিয়াছেন । বিশেষতঃ পঞ্জাবকেশরী রণজিৎ সিংহের রাজত্বকালে ত্যাগের যে মহিমা প্রচারিত হয়, তাহাতে অতি নিম্নশ্রেণীর লোকেও বেদান্তদর্শনের উচ্চতম উপদেশ পর্যন্ত শিক্ষা পাইয়াছে। প্রকৃত গর্বের্বর সহিত পাঞ্জৰী কৃষকবালিকা বলিয়া থাকে তাহার চরকা পৰ্য্যন্ত সোহহং সোহহং ধ্বনি করিতেছে । আর আমি ( ১ ) একমাত্র ত্যাগের দ্বারাই অমৃতত্ব অর্থাৎ মুক্তিলাভ হয়। Ꮌ☾