পাতা:হিন্দুধর্ম্মের শ্রেষ্ঠতা.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* [ २१ ] ভ্রমণ করিয়া আইস কিন্তু দেখিও যেন বিন্দু মাত্র, তৈল ভূমিতে পতিত না হয়। শুকদেব তাহাই করিলেন। যথেচিত যত্বসহকারে তৈলপাত্র হস্তে ধারণ করিয়া সমস্ত নগর ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। ফিরিয়া আইলে জনক জিজ্ঞাসা করিলেন, নগরে কি দেখিলে। শুক যাহা দেখিয়াছিলেন তাহা বর্ণনা করিলেন তৎপরে রাজর্ষি জিজ্ঞাসা করিলেন, কেমন তৈল পতিত হইয়াছিল ? শুকদেব উত্তর করিলেন, একবিন্দুও পড়ে নাই। জনক বলিলেন এইরূপ মনোনিবেশ সহকারে সমস্ত সাংসারীক কাৰ্য্য করতে পারাযায়,অথচ এক মুহুর্তের জন্যও ব্রহ্মের সহিত যোগ স্থলিত হয় না । 哆 সষ্ঠতঃ। হিন্দু ধর্মের আর একটা চমৎকার লক্ষণ এই যে তাহাতে নিষ্কাম উপাসনার বিধি আছে। হিন্দুধৰ্ম্মে সকাম নিকাম, দুই প্রকার উপাসনারই বিধি আছে কিন্তু অন্যান্য ধৰ্ম্মে আদেবে নিষ্কাম উপাসনার কথা নাই। হিন্দুশাস্ত্র নিষ্কাম উপাসনাকে শ্রেষ্ঠ উপাসনা বলিয়াছেন। অন্য সকল ধৰ্ম্মে কেবল পারলৌকিক সুখ প্রত্যাশায় ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের বিধান । দৃষ্ট হয় কিন্তু হিন্দু ধর্মের প্রধান উপদেশ এই যে কোন ফল কামনা না করিয়া কেবল ঈশ্বরের উপাসনা করিবে । ধৰ্ম্মের নিমিত্তই ধৰ্ম্ম সাধন করিবে। উপনিষদে উক্ত °[区一 উপাসতে পুরুষং ক্যকামীস্তে শুক্রমেতদতিবর্তন্তি ধীরাঃ । 邻 যে ধীর ব্যক্তি নিষ্কম হইয়া সেই পরম পুরুষের উপাসনা করেন তাহার জন্ম হয় না ।