পাতা:হিন্দুধর্ম্মের শ্রেষ্ঠতা.pdf/৩৯

[ २> ] যাহারা বিবিধ যাগ যজ্ঞাদি ক্রিয় কলাপের অনুষ্ঠান করে, তাহাদিগকেও কন্মের শেষে এতৎকৰ্ম্মফলং ব্রহ্মাপণমস্তু ” বলিয় কৰ্ম্মফল ত্যাগ করতে হয়। যে ব্যক্তি ফলাকাজ । করিয়া ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম করে সে এক প্রকার ধৰ্ম্মবণিক ; তাহার ধৰ্ম্ম অতি ছেয় বলিয়া শাস্তুে উক্ত হইয়াছে। বণিক যেমন মূল্যের বিনিময়ে দ্রব্য দেয়, সেইরূপ এতাদৃশ ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তি পারলৌকিক সুখের বিনিময়ে ঈশ্বরকে ভক্তি ও প্রীতি প্রদান করেন। কামনা পরিত্যাগ করিয়া ধৰ্ম্মাচরণ করবার নিমিত্ত হিন্দুশাস্ত্রে ভূয়ে ভূয়ঃ উপদেশ প্রাপ্ত হওয়া যায়। এমন কি, এমন সামান্য গ্রন্থ যে বাঙ্গাল ভাষায় কাশীদাস কৃত মহাভারত তাহাতেও ইহার উপদেশ আছে। যুধিষ্ঠির কহিতেছেন— “ আমি যত কৰ্ম্ম করি ফলাকাঙ্ক্ষা নাই । সমপণ করি সব ঈশ্বরের ঠাই । কন্ম করি যেই জন ফলাকাঙ্ক্ষী হয় । বণিকের মত সেই বাণিজ্য করয় ॥ ফললোভে কৰ্ম্ম করে গরু বলি তারে । লোভে পুনঃ পুন যায় নরক দুস্তরে। ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম করি ফলাকাঙ্ক্ষা নাহি করে। ঈশ্বরেরে সমৰ্পিণে অবহেলে তরে । ५भू झन বাঞ্ছা করি ধৰ্ম্ম গৰ্ব্ব করে। ধৰ্ম্মেরে করিয়া নিন্দ অধৰ্ম্ম আচয়ে । এইসব জনেরে পশুর মধ্যে গণি । য়ুথ জন্ম যায় তার পায় পশু যোনি ।