পাতা:হিন্দুধর্ম্মের শ্রেষ্ঠতা.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ t ] শারীরিক নিয়ম পালন করা কৰ্ত্তব্য, শারীরিক নিয়ম পালন না করিলে ধৰ্ম্ম সাধনের বিশেষ ব্যাঘাত হয় এই ভাব হিন্দুধৰ্ম্মে ওতপ্রেতি হইয়া রহিয়াছে। এমনকি,ঐ উপদেশ সামান্য কাব্যেও প্রাপ্ত হওয়া যায়। শরীরমাদ্যং খলু ধৰ্ম্মসাধনং। শরীর সুস্থ থাকিলে মন সুস্থ থাকে, মন সুস্থ থাকিলে তাহ ধৰ্ম্মসাধনের অনুকুল হয়। শরীরের সঙ্গে মনের বিলক্ষণ যোগ আছে। মদ্যপান ও মাংস ভোজন করিলে নিকৃষ্ট প্রবৃত্তি সকল প্রবল হয়। অতিভোজন করিলে বুদ্ধির জড়ত হয়। ইহা সকলেই অনুভব করিতে সমর্থ হয়েন । এই জন্য হিন্দুশাস্ত্রে বিশেষতঃ তদন্তৰ্গত যোগ শাস্ত্রে আহারের নিয়ম সকল কথিত হইরাছে । ভগবদগীতাতে উক্ত হইয়াছে, “যুক্তাহার বিহারশ যুক্ত চেষ্টশ্চ কৰ্ম্ম যুক্তস্বপ্নাববোধশ্চ যোগে ভবতি দুঃখহ।” “যুক্ত আহার, যুক্ত বিহার,যুক্ত চেষ্টাযুক্ত কৰ্ম্ম, যুক্ত নিদ্রা ও যুক্ত জাগরণকে দুঃখহারী যোগ বলে।” হিন্দুধৰ্ম্মে এইরূপে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান শাস্ত্রের সহিত ধৰ্ম্মের যোগ স্থাপন করা হইয়াছে । বিজ্ঞানবিং ব্যক্তিরা এইরূপ ব্যবস্থাতে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইবেন তাহার সন্দেহ নাই | এই রূপে রাজনীতি, সামরিক নীতি, সামাজিক নীতি ও গার্হস্থ্য নীতি, সকলই ধম্মের অঙ্গ করিয়া লওয়া হইয়াছে। ব্যাকরণ ও জ্যোতিৰ্ব্বিদ্যারও ধন্মের সহিত ং শ্রব রহিয়াছে। অন্যান্য সত্য দেশে যেমন সাত্ত্বিক ও বৈষয়িক দুই প্রকার শাস্ত্র বিভাগ আছে হিন্দুদিগের মধ্যে সেরূপ : নাই । হিন্দুধৰ্ম্ম শরীর, মন, আত্মা,সমাজ কাহাকেও অবজ্ঞা ম৷ করাতে প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে প্রকৃত সভ্যতা অর্থাৎ ধৰ্ম্মেীৎপাদ্য

  • Sacred and profane,