পাতা:হিন্দুধর্ম্মের শ্রেষ্ঠতা.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

邨 [ ऐ२ ] তেমনি বেদ উপনিষং ভারতভুমির, তেমনি পুরাণও ভারতভুমির। ধৰ্ম্ম লইয়া ভারতবর্ষে যত আন্দোলন হইয়া গিয়াছে, এত আর কোথাও হয় নাই। ভারতবাসীদিগের ধৰ্ম্ম বিষয়ে স্বাভাবিক অনুরাগ। এখানকার সকলে ধৰ্ম্মকে যেমন পবিত্র ভাবে দেখিতে পায়, সে পরিমাণে আর কোন দেশের লোকই পায় না। ধৰ্ম্মেতে এমন শ্রদ্ধা, ঈশ্বরেতে এমন নির্ভর, আর কোথাও নাই। তাহারা গৃহই প্রতিষ্ঠা করুক, কোন স্থানেই বা গমন করুক, সিদ্ধিদাতা বিধাত পুরুষকে অগ্রে স্মরণ করিয়া সকল কৰ্ম্ম আরম্ভ করে। তাছার সামান্য পত্ৰ লিখিবারও পূর্বে ঈশ্বরকে বিস্তৃত হয় না। ঈশ্বরের নাম লিখিয়া পরে পত্র লিখিতে আরম্ভ করে । যে দেশে ধর্মের ভাব অধিক নাই, তাহার। ইহার মৰ্ম্ম কিছুই বুঝিতে পারে না। বেদের আদিম অবস্থা হইতে এইপ্রকার ধর্মের ভাব চলিয়া আসিতেছে। এক এক বিষয়ে এক এক জাতি গণ্য হয়; কেহ যুদ্ধে, কেহ বাণিজ্যে, কেহ শিল্পশাস্ত্রে, কেহ বা ধৰ্ম্মভাবে। ভারতবর্ষে যদি আর কিছু না থাকে, তথাপি এ ধৰ্ম্মভাৰে সকলের শ্রেষ্ঠ হইয়াছে। ভারতবর্ষবাসিনী স্ত্রীলোকদিগের লজ্জা ও সতীত্ব ইহার অধিক প্রমাণ দিতেছে । আমরা অন্য জাতির নিকট হইতে রাজকার্যের, শিম্পশাস্ত্রের, বাণিজ্য ব্যবসায়ের, শস্ত্রবিদ্যার, উৎকৃষ্ট শিক্ষা লাভ করিতে পারি, কিন্তু ধৰ্ম্ম বিষয়ে শিক্ষার নিমিত্ত অপর জাতির সাহায্যের কিছু মাত্র প্রয়োজন নাই। " সভাপতি মহাশয়ের এই সকল বাক্যে হিন্দু ধর্মের প্রসস্ততা ও বিশালত সুন্দর রূপে বর্ণিত হইয়াছে। আমার এরূপ