পাতা:হিন্দুর জীবন-সন্ধ্যা - যোগেশচন্দ্র রায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( lwe ) রাজা জয়চন্দ্র ও সেই সময়ে উত্তর ভারতের একটি অতি প্ৰবল নরপতি ছিলেন। তিনি আপন প্ৰভুত্ব প্রচার করিবার মানসে, রাজধানী কান্ত কুম্ভে রাজসূয় যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন। উক্ত যজ্ঞে ভারতের রাজন্য বর্গ নিমন্ত্রিত হইল, কিন্তু চৌহানপতি পৃথ্বীরাজ তাহাতে উপস্থিত হইলেন না। ইহাতে রাজা জয়চন্দ্ৰ পৃথ্বীরাজকে অপমানিত করিবার উদ্দেশ্যে, তাহার প্ৰতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ পূৰ্ব্বক দ্বাররক্ষকের বেশে তাহাকে দ্বারে সংস্থাপিত করেন । ষজ্ঞ সমাপ্ত হইলে, সমাগত রাজন্য বর্গের মধ্য হইতে আপনার বর নির্বাচন করিবার জন্য রাজা জয়চন্দ্ৰ স্বীয় দুহিতা সংযুক্তাকে অনুমতি প্ৰদান করিলেন। স্বয়ংবির সভা আহুত হইল, কিন্তু উপস্থিত রাজন্যবর্গের কাহাকে ও মনোনীত না করিয়া, তেজস্বিনী রাজপুত্রী দ্বারস্থিত পৃথ্বীরাজের-দ্বার রক্ষকের গলদেশে অর্পণ করিলেন। পৃথ্বীরাজ অনতিদূরে সৈন্যসামন্ত সহ লুক্কায়িত ছিলেন। সুযোগ বুঝিয়া, সংযুক্তাকে সঙ্গে করিয়া, তিনি আপন রাজ্যে উপনীত হইলেন। অগ্নিতে যেন ঘৃতাহুতি পড়িল ৷ জয়চন্দ্রের ক্রোধাগ্নি আরো প্রবলবেগে প্ৰজ্বলিত হইয়া উঠিল । তিনি বৈরানিৰ্য্যাতনের উপায়ন্তর না দেখিয়া, বিধৰ্ম্মী মৈজুদিনের সহায়তা করিতে প্ৰতিশ্রুত হইলেন । ফল যাহা হইরা ছিল, তাহা কাব্যে বৰ্ণিত হইয়াছে। রাঠোরের সঙ্গে মুসলমানের এক বৎসর পরে যুদ্ধ ঘটিয়াছিল ; কিন্তু কাব্যের সৌন্দৰ্য্যার্থে রাঠোরের যুদ্ধ ও তিরেীরীর যুদ্ধের পাশাপাশি স্থাপন করিয়ছি। যুদ্ধে পৃথ্বীরাজ বন্দী, পরে শাহাবুদ্ধিন মহম্মদ ঘোরীর আদেশে নিহত হইয়াছিলেন। আমি ইচ্ছামত ঐতিহাসিক ঘটনার পরিবর্তন করিয়াছি। জয়চন্দ্র। পরবৎসর যুদ্ধে পরাজিভ ও নিহত হইয়াছিলেন। আমি সেরূপ না লিখিয়া, স্বদেশে ও স্বধৰ্ম্মদ্রোহীর পরিণাম যেমন হওয়ার দরকার তেমন করিয়াছি। যুদ্ধের কিঞ্চিৎ পরিবর্তন कब्रिांईि ।