পাতা:হিন্দু অথবা প্রেসিডেন্‌সী কলেজের ইতিবৃত্ত - রাজনারায়ণ বসু.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৩৪ )

 হিন্দুকলেজের নিমিত্ত প্রথমে ১১৩১৭৯ টাকা সংগৃহীত হয়। সেই টাকা জোজেফ্ বেরেটো কোম্পানী নামক এক পাের্টুগীজ সয়াদাগরের হাউসে রাখা হয়। তাহার উপস্বত্ব হইতে টাকা লইয়া হিন্দু কলেজের অধ্যক্ষেরা কলেজের ব্যয় নির্ব্বাহ করিতেন। ১৮২৪ খৃষ্টাব্দে উক্ত সওদাগর দেউলিয়া হওয়াতে ২৩০০০ টাকা মাত্র অবশিষ্ট থাকে। এই সময়ে কলেজ কমিটী অর্থানুকূল্য জন্য গবর্নমেণ্টের নিকট প্রার্থনা করেন। গবর্ণমেণ্ট অর্থানুকুল্য প্রদানে সম্মত হয়েন। হিন্দুকলেজ কমিটী ও গবর্ণমেণ্টের পক্ষ জেনেরল কমিটী অব পবলিক ইনস্ট্রক্‌শন্ অর্থাৎ সাধারণ শিক্ষা কমিটি, এই দুয়ের মধ্যে এই বন্দোবস্ত হইয়া ছিল যে, যখন অর্থানুকুল্য করা হইতেছে, তখন সেই অর্থ কিরূপে ব্যয়িত হয়, তাহা দেখিবার জন্য শেষোক্ত কমিটীর যিনি সম্পাদক হইবেন, তিনি হিন্দুকলেজের ও বিজিটর অর্থাৎ পরিদর্শক পদে নিযুক্ত হইবেন। সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ ও সাধারণ শিক্ষা কমিটির সম্পাদক বিখ্যাত উইলসন সাহেব প্রথম ঐ পদে নিযুক্ত হয়েন। উইলসন সাহেব মনে করিতেন যে, হিন্দুকলেজের ছাত্রের বাবু শ্রেণীর লোক ও সংস্কৃত কলেজের ছাত্রেরা পণ্ডিতশ্রেণীর লোক। এই দুই শ্রেণীর লোকের মধ্যে পরস্পর স্বভাবতঃ বিদ্বেষভাব থাকা নিবন্ধন সর্ব্বদা বিবাদের আশঙ্কা করিয়া তিনি প্রত্যেক কলেজের চতুর্দ্দিকে শক্ত করিয়া রেল দিয়াছিলেন। উইলসন সাহেবের পর সাধারণ শিক্ষা কমিটীর পর পর সম্পাদক সদর্লণ্ড সাহেব, ওয়াইজ সাহেব প্রভৃতি হিন্দুকলেজের বিজিটর হইয়াছিলেন। জেনেরাল কমিটী অব পবলিক্