পাতা:হিন্দু অথবা প্রেসিডেন্‌সী কলেজের ইতিবৃত্ত - রাজনারায়ণ বসু.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ২২ )

করাতে কার্য্যে পরিণত হয়। বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায় প্রতাহ প্রত্যূষে ভ্রমণ করিবার সময় সার জন হাউড ঈষ্টের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইতেন। সার জন হাউড ঈষ্ট সুপ্রিম কোর্টের জজ ছিলেন। তাঁহার নিকট তিনি একটী ইংরাজী স্কুল স্থাপনের প্রস্তাব করেন। তিনি প্রস্তাবটী অনুমােদন করিলেন। তৎপরে হাউড ঈষ্ট সাহেব ও হেয়ার সাহেব উদ্যোগী হইয়া ১৮১৪ সালের ১৪ই মে দিবসে কলিকাতার প্রধান ব্যক্তিদিগের এক সভা আহ্বান করেন। কলিকাতার অনেক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সে সভাতেও কোন বিশেষ কার্য্য হয় নাই। সে সময়ে হিন্দু সমাজে বিলক্ষণ দলাদলি চলিতেছিল। রাজা রামমােহন রায় সেই সময়ে ধর্ম্ম সংস্কার আরম্ভ করিয়াছিলেন। তিনিই সেই দলাদলির মূল। তাঁহার প্রতি বিদ্বেষ বশতঃ হিন্দু সমাজস্থ লোকেরা বলিয়াছিলেন, “রামমােহন রায় ইহাতে থাকিলে আমরা থাকিব না”। তাহাতে মহামনা রামমােহন রায় স্বীয় মহত্ত্বগুণে বলিয়াছিলেন, “আমি থাকিলে যদি বিদ্যালয়ের স্থাপন ও উন্নতির ব্যাঘাত ঘটে, তবে আমি ইহার সংস্রবে থাকিব না।” কিছু দিন এই রূপে আন্দোলন চলিল। পরে ১৮১৭ খৃঃ অব্দের ২০শে জানুয়ারী দিবসে স্কুল খােলা হইল। এই স্কুলই পরে উন্নত হইয়া হিন্দু কলেজে পরিণত হয়। ঐ বিদ্যালয়ের সংস্থাপন কালে বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায় স্কুলটীকে বট বৃক্ষের সহিত তুলনা করিয়াছিলেন। তিনি বলিয়াছিলেন যে, যেমন বট বৃক্ষ সামান্য বীজ হইতে উৎপন্ন হইয়া প্রকাণ্ড বৃক্ষরূপে পরিণত ও ফুলে ফুলে সুশাে-