পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ミ々 হিন্দু আইন তাহা হইলে খরিদদারকে তদন্ত করিয়া দেখিতে হইবে যে সম্পত্তি বিক্রয় করিবার কোনও আইনসঙ্গত আবশ্বকতা আছে কি না (৬ মুরস ইণ্ডিয়ান আপীলস ৩৯৩ ) ; যদি তিনি দেখেন যে বাস্তবিক আবশ্যকতা আছে তাহা হইলে তাহার আর চিন্তার কোনও কারণ নাই । কিন্তু সম্পত্তি বিক্রয় করিবার পরে ঐ স্ত্রীলোক বিক্রয়লব্ধ অর্থ আইনসঙ্গত আবশ্যকতার জন্য ব্যয় করেন কি না, তাহা খরিদদারের দেখিবার প্রয়োজন নাই। যথা, স্ত্রীলোক যদি বলেন যে কন্যার বিবাহের জন্য সম্পত্তি বিক্রয় করিবার প্রয়োজন এবং খরিদদার যদি তদন্ত করিয়া দেখেন যে বাস্তবিকই বিবাহযোগ্য৷ কন্যা আছে, তাহা হইলেই খরিদদার নিরাপদ ; তাহার পর স্ত্রীলোক বিক্রয়লব্ধ অর্থ ঐ কন্যার বিবাহে ব্যয় করেন কি অন্য কার্ষ্যে ব্যয় করেন কি সঞ্চিত করিয়া রাখেন তাহ ক্রেতার দেখিবার প্রয়োজন নাই । ২। স্ত্রীধন । স্ত্রীলোক যে সম্পত্তি নিবুঢ়ি স্বত্বে প্রাপ্ত হন তাহা তাহার স্ত্রীধন বলিয়া গণ্য হয়। এই সম্পত্তি তিনি যে কোনও প্রকারে ভোগ করিতে পারেন, অনেক স্থলে তিনি ইচ্ছামত হস্তান্তর করিতে পারেন, এবং তাহার মৃত্যুর পর তাহার নিজের উত্তরাধিকারীতে উহা অশিয়া থাকে, র্তাহার স্বামীর পরবর্তী উত্তরাধিকারী উহা প্রাপ্ত হন না । স্ত্রীধন নানা প্রকারের হইয়া থাকে, যথা –(১) যৌতুক, অর্থাং বিবাহের সময়ে স্ত্রীলোক যে সম্পত্তি পাইয়া থাকেন ; দ্বিরাগমনের সময় তিনি যাহা প্রাপ্ত হন তাহাও যৌতুকের অন্তর্গত ; (২) অন্বধেয়ক, অর্থাৎ বিবাহের পর তিনি পিতা বা স্বামীর নিকট হইতে যাহা পাইয়া থাকেন ; (৩) সৌদায়িক অর্থাৎ আত্মীয় স্বজনগণ যে সম্পত্তি (বিবাহের সময়ে হউক বা অন্ত সময়ে হউক ) স্ত্রীলোককে স্নেহের সহিত দান করেন ; (s) স্বামীদত্ত স্থাবর সম্পত্তি; (৫) স্বামীদত্ত অস্থাবর সম্পত্তি ; (৬) স্ত্রীলোকের