পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ श्न्मूि चाहेन এ কথা সত্য বটে যে, ঔরসপুত্র অপেক্ষ দত্তকপুত্রের অধিক ক্ষমতা নাই, এবং ঔরসজাত পুত্রকে পিতা যখন ত্যাগ করিতে পারেন, তখন দত্তক পুত্রকেও পারেন । কিন্তু এস্থলে দুইটা বিষয় বিবেচনা করিলা দেখা কৰ্ত্তব্য। প্রথমতঃ, পিতা তাহার ঔরসজাত পুত্রকে সামান্ত কারণে প্রায় ত্যজ্যপুত্র করেন না, কারণ স্বাভাবিক পিতৃস্নেহ তাহাকে এরূপ কাৰ্য্য হইতে নিবৃত্ত করিবে ; কিন্তু দত্তকপুত্রের প্রতি সেরূপ স্নেহ হওয়া সম্ভব নয়, সুতরাং দত্তকগ্রহীতা-পিতা ইচ্ছা করিলে সামান্ত কারণে দত্তকপুত্রকে ত্যজ্যপুত্র করিতে পারেন ; অথবা হয়তো দত্তকপুত্রের প্রতি র্তাহার মোটেই স্নেহ হইল না, একারণেও তিনি দত্তককে বঞ্চিত করিয়া তাহ অপেক্ষা অধিকতর স্নেহের পাত্রকে সম্পত্তি দিয়া গেলেন । এই কারণ বশতঃ, দত্তকগ্রহীতা যাহাতে যথেচ্ছকুপে দত্তকপুত্রকে ত্যজ্যপুত্র করিয়া ন যাইতে পারেন এরূপভাবে তাহার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত, নহিলে দত্তকপুত্র অনেকস্থলে বিনাদোষে পরিত্যক্ত হইতে পারে। দ্বিতীয়তঃ, দত্তকপুত্রের জন্মদাতা-পিতা বালককে কোন উদ্দেশ্যে পরগৃহে দত্তকরূপে দান করিয়াছে ? সে ভাল অবস্থায় থাকিবে, এই আশাতেই তো ? সুতরাং যদি দত্তকপুত্র বিনাদোষে পরিত্যক্ত হয়, তাহা হইলে তাহার পিতামাতাও নিরাশ হইয়া যায়। এই সমস্ত ঘটনা আলোচনা করিয়া দেখিলে মনে হয় যে দত্তকপুত্রকে একান্তই ত্যজ্যপুত্র করিতে ইচ্ছা করিলে তাহাকে ভরণপোষণের জন্ত যথেষ্ট সম্পত্তি দেওয়া উচিত । যেস্থলে কোনও বিধবা স্ত্রীলোক দত্তকগ্রহণ করেন, সে, স্থলে যদি বালকের জন্মদাতা পিতার সহিত দত্ত্বকগ্ৰহীত্রীল এইরূপ চুক্তি থাকে যে, দত্তকগ্রহণের পরেও দত্তকগ্রহীত্ৰী যতদিন জীবিত থাকিবেন ততদিন তিনি তাহার স্বামীত্যক্ত সম্পত্তি জীবনস্বত্বে ভোগ করিতে থাকিবেন, তাহা হইলে ঐরুপ চুক্তি ঐ বালক সাবালক হইয়া অসিদ্ধ সাব্যস্থ