পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ २> অসিদ্ধ নহে (বিশ্বনাথ বঃ সরসীবালা, ৪৮ কলিকাতা ৯২৬)। ইহাতেও বিচারপতিগণ উপরোক্তরূপে ভ্ৰম করিয়াছেন এবং ইহাও দুইজন ইউরোপীয় বিচাপতির নিম্পত্তি। শূদ্রের মধ্যে যে সকল জাতি আছে তাহাদের মধ্যেও বিবাহ হয় না ; যথা ধোপার সহিত নাপিতেব বিবাহ বা কলুর সহিত গোয়ালার বিবাহ হয় না ; এ সকল বিষয় ইউরোপীয় বিচারপতিগণের মস্তিষ্কে প্রবেশ করিতে পারে না ; তাহারা শুদ্র বলিতে সকল শূদ্ৰজাতিকেই এক পৰ্য্যায়ভুক্ত মনে করিয়া স্থির করিয়াছেন যে তাহাদের পরস্পরের মধ্যে বিবাহ চলিতে পারে । তাহার পর, বঙ্গদেশীয় কায়স্থগণকে শূদ্রমধ্যে পরিগণিত করিয়া ঐ দুইটী মোকদ্দমায় হাইকোর্ট যে গুরুতর ভ্রম কবিয়াছেন, এই ভ্রমট ৪০ বৎসরের উৰ্দ্ধকাল হইতে বিচারালয়ে চলিয়া আসিতেছে । এদেশের কায়স্থগণ কর্তৃক বহু শতাব্দী হইতে উপনয়ন ত্যাগ ও ক্ষত্রিয়াচিত আচার পরিবর্জনহেতু রঘুনন্দন তাহাদিগকে শূদ্রমধ্যে গণ্য করিয়াছেন । পণ্ডিত শু্যামাচরণ সরকার র্তাহার “ব্যবস্থাদপণ” নামক গ্রন্থে লিপিয়াছেন যে—এ দেশীয় কায়স্থগণ বাস্তবিকই ক্ষত্রিয়, কিন্তু বহুকাল যাবৎ তাহারা উপনয়ন ত্যাগ করিয়াছেন এবং নামান্তে বৰ্ম্মা’ শব্দ ব্যবহার না করিয়া “দাস’ শব্দ ব্যবহার করেন বলিয়া তাহারা শুদ্রত্বে পতিত হইয়াছেন । এই সকল বিষয় আলোচনা করিয়া কলিকাতা হাইকোর্ট ১৮৮৪ সালে রাজকুমার বঃ বিশ্বেশ্বর ( ১০ কলিকাতা ৬৮৮ ) নামক মোকদ্দমায় কায়স্থকে শূদ্র বলিয়া প্রতিপন্ন করিয়াছেন, এবং এই নজীর অন্তসরণ করিয়া অসিতমোহন বঃ নীরদমোহন (২০ কলি: উইকৃলি নোটস ৯০১) নামক মোকদ্দমায় সেই কথারই প্রতিধ্বনি করিয়াছেন। আর স্মাৰ্ত্ত রঘুনন্দন যাহা বাকী রাখিয়াছিলেন সম্প্রতি কলিকাতা হাইকোর্ট তাহা শেষ করিয়া দিয়াছেন•; কামস্থের সহিত ডোমের ও র্তাতির বিবাহ সমর্থন করিয়৷ এই সম্রাস্ত জাতির ললাটে শূত্রত্বের চরম কলঙ্ককালিম