পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

19వ शिन्नू श्रांझेन তাহা হইলে কন্যার মাতা তাহাকে ঐ কাৰ্য্য হইতে নিবৃত্ত করিতে পারেন ( হরেন্দ্র বঃ বৃন্দারাণী, ২ কলিকাতা উইকৃলি নোটস ৫২১) । আবার বিশেষ বিশেষ স্থলেও পিতা অপেক্ষা মাতাই অধিকতর বাঞ্ছনীয় অভিভাবক বলিয়া গণ্য হন। যদি একজন কুলীন ব্রাহ্মণের একশত পত্নী থাকে, তাহা হইলে কবে কোন পত্নীর গর্ভে কোথায় কোন কন্যা জন্মিয়াছে তাহ হয়তো ঐ ব্রাহ্মণের স্মরণও না থাকিতে পারে ; ঐ কন্যা তাহার মাতার নিকট মাতামহের গৃহে প্রতিপালিত হইতেছে, পিতাকে সে হয়তো কখনও দেখেও নাই । এরূপ অবস্থায় ঐ কন্যার বিবাহ সম্বন্ধে পিতা অপেক্ষা মাতাই স্বাভাবিক অভিভাবক হইবেন (মধুসুদন বঃ যাদবচন্দ্র, ৩ উইকলি রিপোর্টর ১৯৪)। অভিভাবক হিসাবে পিতার স্থান খুবই উচ্চ ; এমন কি, পিতা যদি কোনও অপরাধে অভিযুক্ত হইয়া দণ্ড প্রাপ্ত হন, তাহা হইলেও সে কারণে তিনি কন্যার বিবাহের অভিভাবক হইবার অযোগ্য হইবেন না ( ১২ বোম্বাই ১১০ ) । বিমাতা কখনও অভিভাবক হইতে পারেন । কন্যার যদি কোনও অভিভাবক না থাকে, অথবা যদি কন্যা যৌবনস্থা হওয়ার পরও তাহার অভিভাবকগণ বিবাহ দিতে অবহেলা করেন, তাহা হইলে সে নিজে স্বামী নিৰ্ব্বাচন করিতে পারে। কন্যার বিবাহে কে উপযুক্ত অভিভাবক হইবেন, এ সম্বন্ধে বিবাহের পূৰ্ব্বে কোন প্রশ্ন উঠিলে আদালত তাহার মীমাংসা করিতে পারেন, কিন্তু বিবাহের পরে প্রশ্ন উঠিলে আদালত প্রায় হস্তক্ষেপ করেন না। যদি কোন কন্যার পিতা একটি পাত্র নির্বাচন করেন, এবং ভ্রাতাও একটী পাত্র নির্বাচন করেন, এবং পিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভ্ৰাতা বিবাহ দিতে অগ্রসর হন, সে স্থলে আদালত হস্তক্ষেপ করিবেন, এবং ভ্রাতার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রচার করিবেন।