পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করি, ইজ এবং দ্বি থাকেন, এবং কালীনাথ নামক চতুর্থ মৃত পুত্রের লক্ষ্মীকান্ত নামক মৃত পুত্রের মহেন্দ্র নামক মৃত পুত্রের নরেন্দ্র নামক এক পুত্র থাকেন, তাহা হইলে এই শেষোক্ত নরেন্দ্র ৰ্তাহার বৃদ্ধ প্রপিতামহ আনন্দের কোনই সম্পত্তির অংশ পাইবেন না, কারণ তিনি আনন্দ হইতে চারি পুরুষের মধ্যে নহেন । আনন্দের সম্পত্তি উক্ত স্থলে তিন অংশে বিভক্ত হইয়া এক তৃতীয়াংশ তাহার প্রথম পুত্র বলরাম পাইবেন ; অপর এক তৃতীয়াংশ মৃত পুত্র চন্দ্রের পুত্রদ্বয় ঈশান ও ফণী তুল্যাংশে (প্রত্যেকে 3) পাইবেন, এবং তৃতীয় অংশ মৃত পৌত্র গঙ্গাধরের তিন পুত্র হরি, ইন্দ্র এবং যদু তুল্যাংশে (প্রত্যেকে ) পাইবেন । পিতার মৃত্যুর পর পুত্ৰগণ সম্পত্তি ভাগ করিবার সময়ে যদি তাহাদের মাতা গর্ভবতী থাকেন, তাহা হইলে যতদিন পৰ্য্যন্ত গর্ভস্থ সন্তান ভূমিষ্ঠ না হয়, ততদিন বিভাগ স্থগিত রাখা কৰ্ত্তব্য । কারণ যদি ঐ গর্তে পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়, তাহা হইলে সে এক অংশ পাইতে স্বত্ববান হইবে, এবং তাহাকে এক অংশ দিতেই হইবে। স্বতরাং যদি ঐ পুত্ৰ সন্তান ভূমিষ্ঠ হইবার পূৰ্ব্বেই অন্য পুত্ৰগণ সম্পত্তি ভাগ করিয়া লয়, তাহ হইলে ঐ পুত্র সন্তান জন্মিবার পরে আবার সমস্ত বিভাগটা রহিত করিয়া ফেলিয়া নূতন করিয়া বিভাগ করিতে হইবে । সেই জন্তই, গর্ভস্থ সন্তান ভূমিষ্ঠ না হওয়া পৰ্য্যন্ত ঐ কয়েক মাস অপেক্ষা করা উচিত। সহোদর ও বৈমাত্র ভ্রাতায় কোনও প্রভেদ নাই, সকলেই তুল্যাংশে পাইবেন । অনেকের এইরূপ ভুল ধারণা আছে যে যদি এক পত্নীর গৰ্ত্তজাত এক পুত্র থাকে, এবং আর এক পত্নীর গর্ভজাত দুই পুত্র থাকে, তাহা হইলে সম্পত্তি দুই ভাগে বিভক্ত হইবে এবং অৰ্দ্ধাংশ প্রথম পত্নীর গর্ভজাত পুত্র পাইবে, অপর অৰ্দ্ধাংশ দ্বিতীয় পত্নীর গর্ভজাত পুত্রদ্বয় পাইবে । কিন্তু ইহা সম্পূর্ণ ভুল ; সম্পত্তি তিন ভাগে বিভক্ত হইয়া প্রত্যেকে একতৃতীয়াংশ পাইবে । *