পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবিভাজ্য সম্পত্তি Ψά শেষ হইয়া গেলে তৎপরবর্তী পুত্রের বংশ পাইবে, অর্থাৎ এস্থলে গঙ্গাধর পাইবে ; আবার আর এক স্থানের প্রথানুসারে, যাহার সঙ্গে সম্বন্ধ বেশী ঘনিষ্ঠ, সেই পাইবে, অর্থাৎ এস্থলে গঙ্গাধর অপেক্ষা দয়ালষ্ট ফণীর বেশী ঘনিষ্ঠ ; সুতরাং দয়ালই পাইবে। যে বংশে যে প্রথা চলিয়া আসিতেছে, সেই বংশে সেই প্রথানুসারে উত্তরাধিকারী নির্ণয় করা হইবে। জ্যেষ্ঠ পুত্র বলিতে গেলে সৰ্ব্বাপেক্ষা যে বয়োজ্যেষ্ঠ তাঙ্গকেই বুঝাইবে ; যদিও সে তাহার পিতার কনিষ্ঠ পত্নীর গভজাত হয়, তথাপি সে বয়োজ্যেষ্ঠ হইলেই উত্তরাধিকারী হইবে। আব' : ; সে মণ্ড স্থানে এরূপ প্রথা আছে যে, জ্যেষ্ঠ পত্নীর গভর্জা পুত্রই উত্তরাধিকারী হইবে, এমন কি বয়ঃকনিষ্ঠ হইলেও হইবে। অবিভাজ্য সম্পত্তির মালিক পরিবারের অন্যান্য ব্যক্তিগণকে প্রতি পালন করিতে বাধ্য। কোনও কোনও স্থানে তাহাদিগকে ভরণপোষণের জন্য নগদ টাকা দেওয়া হয়, আমার কোনও বাজএষ্টেটের প্রথানুসারে র্তাহাদিগকে ভরণপোষণ স্বরূপ কিছু ভূসম্পত্তি দেওয়া হয়। কোন কোন স্থানে তাহারা ঐ ভূসম্পত্তি জীবনস্বত্বে পাইয়া থাকেন, আবার কোন কোন রাজএঃেটেব প্রথানুসারে তাহারা নিবুঢ়িস্বত্বে পাইয়া থাকেন। সুতরাং দেখা যাইতেছে যে, অবিভাজ্য সম্পত্তির সকল বিষয়ই ভিন্ন ভিন্ন স্থানের ভিন্ন ভিন্ন প্রথার দ্বারা পরিচালিত হইয়া থাকে ; কোনও নির্দিষ্ট আইন সকল স্থানে প্রযোজ্য হয় না।