আমি কতই সুখী হই এবং সুহৃদগণের নিকট কতই আদরণীয়া হই। কিন্তু যদি অদৃষ্ট ক্রমে কন্যা ভূমিষ্ঠা হয়, তবে সেই কন্যার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া মাতা যে কতই দুঃখিতা হয়েন তাহা বলিবার নহে, অধিক কি কহিব সকল বিষাদের চিহ্ন যে রোদন কেহ কেহ তাহাও কুরিয়া থাকেন, এবং আর আর সুহৃদগণও অতিশয় মনস্তাপ করেন। পুত্র জন্মইলে যেরূপ বাদ্যবাদন, ব্রাহ্মণ পূজন, দরিদ্র ভোজন, স্বস্ত্যয়ন, এবং পুত্রের আয়ু বৃদ্ধি কারণ বহুবিধ দ্রব্য সামগ্রী দান, ও দেশ বিদেশস্থ আত্মীয় কুটুম্বগণকে জ্ঞাপনার্থে নাপিত প্রেরণাদি যে সকল মঙ্গলাচরণ হইয়া থাকে, কন্যা জন্মাইলে তাহার কিছুই হয় না, বরং তদ্বিপরীত কার্য্যই হইয়া থাকে। হা বিধাতঃ। আমরা কি এতই নিকৃষ্ট যে আমাদিগের জন্ম মৃত্যু কালই সমান হইবে? হা দেশাচার! তোমার কি মোহিনী শক্তি! তোমার মোহে মুগ্ধ হইয়া লোক সকল মোহান্ধকার ভোগ করিতেছে। হায়! কত দিনে আমাদিগের এই বাঙ্গলা দেশ সুখের আলয় হইবে, কত দিনে এই ঘৃণিত দেশাচার একেবারে দূরীভূত হইবে। হে সর্ব্ব জন হিতৈষী মহোদয়গণ! তোমরা সকলে যত্নবান হইয়া এই দুঃসহ অত্যাচারকে সমূলে নির্ম্মূল কর।
মহিলাগণের বাল্যাবস্থার ক্রিয়া এবং তাহাদিগের প্রতি পিতা মাতার ব্যবহার।
পিতা স্বীয় বালকগণকে যেরূপ যত্নপূর্ব্বক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থ প্রেরণ করেন, বালিকাগণকে সেরূপ করা দূরে