পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।

আহ্বান করিয়া তাহাদিগকে হরিদ্রা, আমলা, তৈল, সিন্দূর, পান, সুপারি প্রভৃতি প্রদান পূর্ব্বক তাহাদিগের পদনখর ও গাত্রের মলা লইয়া একটা পুত্তলিকা ও একটা প্রদীপ প্রস্তুত করে এবং সেই বস্ত্র খণ্ড দ্বারা ঝুলি প্রস্তুত করিয়া সেই প্রদীপ ও পুত্তলিকা তাহাতে স্থাপন পূর্ব্বক জ্ঞানার্থ গমন করে, এবং জলমগ্ন হইয়া পক্ষে সেই ঝুলি প্রোথিত করত গৃহে প্রত্যাগমন করে, এই ব্রতের নাম নখছুট, ইহা করিলে পরলোকে নখ চুল গলায় বাধিয়া মরিতে হয়। বৈশাখ মাসে ইহারা কৃত্রিম পুষ্করিণী খনন করিয়া তাহাতে বিল্ব বৃক্ষ রোপণ পূর্ব্বক পূজা করে, এই ব্রতের নাম পুণ্য পুষ্করিণী, এই ব্রত করিলে পরলোকে পিপাসা হইতে পরিত্রাণ পায় এবং ঐ মাসে তাহারা মৃন্ময় বাণলিঙ্গ নির্ম্মাণ করিয়া তাহার আরাধনা করিয়া থাকে, এই ব্রতের নাম শীলশীলেটম, পুরা কালে গিরিরাজদুহিতা গৌরী এই ব্রত করিয়াই ভূতনাথ পতি পাইয়াছিলেন, কন্যাগণও সেইরূপ পতি লাভের আশয়ে এই ব্রত করিয়া থাকে। উক্ত মাসে তাহারা আর এক প্রকার ব্রত করিয়া থাকে, তাহার নাম দশপুত্তলিকা, ভূমিতে দশটি পুত্তলিকা চিত্রিত করিয়া তাহার প্রত্যেকের নিকট এক একটি প্রার্থনা করে, যথা রামের মত পতি, দশরথের তুল্য শ্বশুর, লক্ষণ সদৃশ দেবর, কৌশল্যার ন্যায় শ্বশ্রূ, সীতার সদৃশ সতীত্ব, দ্রৌপদী সদৃশ পাচনক্ষমতা, কুন্তীর মত পুত্রবতী ও ভাগীরথীর তুল্য স্নিগ্ধতা এবং ধরণী সদৃশ ভারসহিষ্ণুতা প্রাপ্ত হইবে। শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্ত্তিক এই মাস চতুষ্টয়ের প্রত্যেক অমাবস্যা দিবসে ইহারা মনসার ডাল, নেকড়া,