পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।

প্রাণ হইতে মানই বড় “যাক প্রাণ থাক মান” আহা কি অজ্ঞানতার বিষয়! যদ্যপি আমাদিগের দেশে এই অহিতকর কৌলীন্য মর্য্যাদা না থাকিত, তবে আমাদিগের দেশের আর এরূপ দুর্দশা ঘটিত না, এবং ইঁহারাও এরূপ অজ্ঞানাবস্থায় থাকিতেন না, ইঁহারা অবশ্যই স্ব স্ব জীবিকা নির্ব্বাহার্থে ও মান সম্ম্রম বৃদ্ধি করণার্থে বিদ্যাভ্যাসে রত হইতেন, এবং সেই বিদ্যা প্রভাবেই ইঁহাদিগের ঐ অজ্ঞান ভাবেরও অভাব হইত।

কুলীন মহাশয়দিগের পুত্র কন্যাগণের প্রতি ব্যবহার ও তাহাদিগের বিবাহাদির নিয়ম।

 কুলীন মহোদয়গণের মধ্যে যাঁহারা সাতিশয় অর্থ পিশাচ না হন এবং ভবিষ্যতে তাঁহাদিগের বংশে যাহারা জন্ম গ্রহণ করিবে তাহাদিগের প্রতি কৃপাবান হইয়া তাহাদের চির দুঃখ রূপ কুল ভঙ্গ পথের পথিক না হন তবেই মঙ্গল, নচেৎ ভবিষ্যতে তাঁহারদিগের বংশজদিগকে বংশজ দোষে দুষিত হইয়া অতিশয় যন্ত্রণা ভোগ করিতে হয়।

 যাঁহাদিগের পূর্ব্ব পুরুষগণ স্ব স্ব মান মর্য্যাদা যত্ন পূর্ব্বক রক্ষা করিয়া থাকেন তাঁহাদিগকে নৈকষ্য সন্তান কহে। এই নৈকষ্য সন্তানগণ প্রথমে কোন প্রধান বংশীয় শ্রোত্রিয়ের আলয়ে বিবাহ করেন, পরে কুলমর্য্যাদা রক্ষার নিমিত্ত এক কুলীন তনয়ারও পাণি গ্রহণ করিয়া থাকেন, কিন্তু তাহাকে লইয়া সংসার ধর্ম্মাদি কিছুই করেন না, সে চিরকাল পিতৃ গৃহে অবস্থিতি করে এবং তাহার গর্ভে যে সকল সন্তান সম্মতি জন্মায় তাহার পৈতৃক ধন ভোগ করিতে