পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।

তাঁহাদিগের আলয়ে উপস্থিত হইলেন। তাঁহাকে দেখিয়া ঐ কন্যার মাতা ভ্রাতা প্রভৃতি আত্মীয়গণ বিবেচনা করিলেন, ইহার যেরূপ পীড়া হইয়াছিল তাহাতে বাঁচিবার সম্ভাবনা ছিল না, কি জানি আবার কোন সময়ে ইহার মৃত্যু কাল উপস্থিত হইবে এবং ইহার বিবাহ না হওয়া প্রযুক্ত এত বড় মানটা একেবারে নষ্ট হইবে, অতএব আর অধিক বিলম্বের আবশ্যক নাই, পিশে মহাশয়ের সঙ্গেই ইহার বিবাহ দেওয়া যাক। এইরূপ কথা বার্ত্তার পর তাহারা সেই অশীতী বর্ষ বয়স্ক বরকে বিবাহের কথা জ্ঞাপন করিল। তাহাতে সেই বর অতিশয় বিরক্ত হইয়া বলিল, আমার সহিত বিবাহ দিও না, আমার সহিত বিবাহ দিয়া মেয়েটাকে কেন একেবারে নষ্ট করিবে, আমার পুত্রকে আলিতে আজ্ঞা করিয়াছি তিনি শীঘ্রই আসিবেন তাঁহার সহিত বিবাহ দিও। কিন্তু তাহারা কিছুতেই ক্ষান্ত হইল না, বুদ্ধের সহিত সেই কন্যার বিবাহ দিল, কন্যা বয়ঃ প্রাপ্ত হইবামাত্রই অতি ঘৃণিত কর্ম্মে রত হইল, তাহার মাতা ভ্রাতা প্রভৃতি বন্ধু জনেরা তাহার সেই দোষ অনায়াসে সহ্য করিতে লাগিল। এই প্রকারে কিছু কাল গত হইলে পর ঐ বৃদ্ধের মৃত্যু হইল, তাহাতে ঐ কন্যার বেশ বিন্যাসের কিঞ্চিৎ ব্যাঘাৎ জন্মিল, এই জন্য সে ভ্রাত্রালয় পরিত্যাগ পূর্ব্বক নদী পারে গিয়া বসতি করিল। আমি অতি শৈশব কালে ঐ বরকে দেখিয়া ছিলাম তাহাতে কিঞ্চিৎ স্মরণ হয়, তাহার আকার ঠিক এক খানি নারিকেল কোরা কুরাণীর মত।