পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।
১৯

রাখিয়া আসিল, এই ঘটনার কিছু দিন পরে সেই কন্যার বৈমাত্রেয় ভ্রাতা এক বরপাত্র ও এক ঘটক সমভিব্যাহারে লইয়া চটগ্রাম হইতে আগমন করিলেন, তদৃষ্টে ঐ কন্যার মাতা বিষম বিপদে পতিত হইলেন এবং উহাকে কি বলিযাই বা উত্তর প্রদান করিবেন তাহা চিন্তা করিতে লাগিলেন। ইতি মধ্যে ঐ কন্যাকর্ত্তা জিজ্ঞাসিলেন মাতঃ ভগিনী কোথায়? তিনি বলিলেন সে শ্বশুরালয়ে আছে, এই কথা শুনিবামাত্রই তিনি একেবারে হুতাশনের ন্যায় জ্বলিয়া কহিলেন, কি ভগিনী শ্বশুরালয়ে? তাহার বিবাহ কে দিল? হা! কে আমার এই সর্ব্বনাশের হেতু হইল, কেই বা আমাদিগের জীবন স্বরূপ এই কুল রত্ন একেবারে নষ্ট করিল। এই রূপ নানাবিধ বিলাপ ও কপালে এমত করাঘাত করিতে লাগিলেন যে তাহা দর্শন বা শ্রবণ করিলে সকলেরই অশ্পাত হয়, পরে তাঁহাকে সা্না করিবার নিমিত্ত সকলে নানাবিধ প্রবোধ বাক্য দ্বারা বুঝাইতে লাগিল, কিন্তু তিনি কিছুতেই প্রবোধ না মানিয়া বরং বারম্বার ইহা বলিতে লাগিলেন তোমরা আমার ভগিনীকে আনিয়া দেও আমি পুনর্ব্বার তাহার বিবাহ দিয়া কুল রক্ষা করিব, এই কথা শ্রবণ করিয়া সকলে কহিলেন তাহা কি প্রকারে হইতে পারে যাহার একবার বিধিপূর্ব্বক বিবাহ হইয়াছে আবার কি প্রকারে তাহার বিবাহ দিবে, তাহা কখনই হইতে পারিবে না। তখন তিনি নিরুপায় হইয়া কহিলেন, তবে তামরা তাহার মৃত্যু সংবাদ লিখিয়া দেও, আমি স্বদেশে প্রচার করিব যে আমার ভগিনীর মৃত্যু হইয়াছে, তাঁহারা তাহাতেই সম্মত হইলেন। এই প্রকারে ঐ ত্রিকুল দুহিতাগণের কতই দুর্দ্দশা