পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।

পতিত হইলেও তিনি অপবিত্র হন না, আমরাও তদ্রূপ। আহা! কি অজ্ঞানতার বিষয় ইহাদিগের পত্নীগণ ব্যভিচারিণী হইলেও অপমান হয় না, পুত্রগণ জারজ হইলেও মানের হানি হয় না, কেবল শ্বশুরালয়ে গিয়া পূজা না পাইলেই অতিশয় মানের লাঘব হইয়া থাকে। এই বিষয়ক একটী গল্প স্মরণ হইল, কৃষ্ণনগর জিলার অন্তঃপাতি কোন এক গ্রামে এক কুলীন গৃহস্থের জামাতা আসিয়াছিল, গৃহে তখন আর কেহই ছিল না, কেবল তাঁহার স্ত্রী একামাত্র বসিয়াছিল, সে বহু দিবসের পর স্বামি সন্দর্শন করিয়া অতিশয় সন্তুষ্টচিত্তে গাত্রোত্থান পূর্ব্বক অভ্যর্থনাদি করিল, তাহার স্বামি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, কেমন আমার জন্য কিছু রাখিতে পারিয়াছ কি না? ইহা শ্রবণ করিয়া তাহার স্ত্রী কহিল, আমি ময়েমানুষ কোথায় কি পাইব যে তোমার জন্য রাখিব, স্বামিগণই স্ত্রী দিগকে প্রতিপালন করিয়া থাকেন ও অলঙ্কার বস্ত্রাদি প্রদান করেন, তুমি আমার জন্য কি আনিয়াছ বল, এই রহস্যজনক কথা শ্রবণ করিয়া তাহার স্বামি কিছুমাত্র বিবেচনা না করিয়া সে স্থান হইতে প্রস্থান করিলেন; প্রস্থানকালে ঐ নারী অতিশয় নিষেধ করিতে লাগিল, তিনি কিছুতেই নিবৃত্ত হইলেন না, পরে সেই নারী অতিশয় দুঃখিতমনে চিন্তা করিতে লাগিল, আমি বিবাহের পর ইহাঁকে একবারও দৃষ্টি করি নাই এবং আমার বয়স প্রায় বিংশতি বৎসর অতীত হইল, স্বামি আমার চরিত্রের বিষয়ে কিছুমাত্র বিবেচনা না করিয়া কেবল অর্থের আশা করিলেন। আমি যদ্যপি কখন অর্থ সংগ্রহ করিতে পারি তবে ইহাঁকে অবশ্যই পাইব। এইরূপ চিন্তা করিয়া কুলে