পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।

যাহারা জন্ম গ্রহণ করিবে তাহারা যদ্যপি বহু নারীর পাণি গ্রহণ করে তবে ধর্ম্ম হইতে পতিত হইবে। পরে ব্রাহ্মণ স্বদেশে গমন করিলে পর বেশ্যাও ধন সম্পত্তি যাহা কিছু ছিল সদ্ব্যয় করত পরম পুণ্যধাম বৃন্দাবনে প্রস্থান করিল। হে পাঠকবর্গ! আপনারা এই স্থলে বিবেচনা করিয়া দেখুন কিরূপ ঘটনা হইল, কেবল কৌলীন্য মর্য্যাদাই ইহার মূলীভুত কারণ, এই কৌলীন্য মর্য্যাদার বশীভূত হইয়া রাঢ়ীয় শ্রেণীর কুলীন মহাশয়েরা কি দুষ্কর্ম্মই না করেন, আপন প্রাণ সদৃশ কুমারীগণকে এক অতি শীর্ণ জীর্ণ কলেবর বৃদ্ধের হস্তে দান করেন এবং সেই বৃদ্ধের মৃত্যু হইলে সকল কুমারী একেবারে বিষম বৈধব্যদশা প্রাপ্ত হয়, সেই দশার যে কত ক্লেশ তাহা কে না জানেন, ইহা জানিয়াও পিতা, মাতা, ভ্রাতা প্রভৃতি আত্মীয় জনেরা তাঁহাদের সদৃশ কুলীন একজন পাত্র প্রাপ্ত হইলেই কন্যা ভগিনী ভ্রাতৃপুত্রী প্রভৃতি সকল গুলিকেই ঐ এক বৃষে উৎসর্গ করিয়া দেন। হায়! ইহা কেবল বল্লালসেনই ঘটাইয়াছেন, তিনি যদ্যপি এই বঙ্গদেশে বিষ বৃক্ষ তুল্য কুলবৃক্ষ রোপণ না করিতেন, তাহা হইলে আর সেই বিষবৃক্ষের ফল স্বরূপ এই ব্যবহার দোষে বঙ্গদেশ দূষিত হইত না।


বংশজদিগের বিষয়।

 এই কুলীন মহাশয়দিগের সাত পুরুষ অতীত হইলে ঐ বংশে যাঁহারা জন্ম গ্রহণ করেন, অথবা যাঁহাদিগের দুরদৃষ্ট বশত কন্যাগণ ক্ষুদ্র বংশে পতিত হয়, তাঁহাদিগের আর পূর্ব্বের মত মান সম্ভ্রম কিছুই থাকে না। তাঁহারা একেবারে