পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।

কেহ আপন কন্যাগণকে পরিবর্ত্ত করিয়া পুত্রগণের গতি করেন। এই প্রকার বিবাহের নিমিত্ত তাঁহাদিগের যে কত দু্দ্দশা ঘটিয়া থাকে তাহা বলা যায় না, জাতি নাশ, অর্থ নাশ, মান নাশ প্রভৃতি সর্ব্বনাশ ঘটে, এবং প্রতারক ঘটকগণ অর্থ লোলুপ হইয়া ব্রাহ্মণ কন্যা বলিয়া সামান্য জাতীয় কন্যাগণকে ঐ ব্রাহ্মণদিগের পুত্রের সহিত বিবাহ দেয়, বরকর্ত্তাগণ বিশেষ অনুসন্ধান করেন না কেবল কন্যাটি বড় ও সুলভ দেখিয়া একেবারে আহলাদে আট্খানা হইয়া যান; পরে সেই বঞ্চনা প্রকাশ হইলে একেবারে বিষম বিপদে পতিত হন। এই অর্থ লোভে কুলীন দয়িতাগণ আপন দুহিতাগণকে ঐ বংশজ গৃহে বহু অর্থ গ্রহণ পূর্ব্বক বিক্রয় করিয়া ভরত্তৃকুল দূষিত করেন এবং ঐ কন্যাগণকে প্রাপ্ত হইলে তাহার পিতা ভ্রাতা প্রভৃতি আত্মীয়েরা পুনর্ব্বার বিবাহ দিয়া আপন কুল রক্ষা করেন, কেহ বা অতি অপ্রতুল বশতঃ এক কন্যার দ্ধিবার বিবাহ দেন, কেহ কেহ সপ্ততি বা অশীতি বর্ষীয় বরের সহিত সপ্তম বা অষ্টম বর্ষীয়া বালিকার বিবাহ দিয়া বহু মুদ্রা গ্রহণ করেন ও ইহাদিগের মধ্যে যদ্যপি কাহারও তনয়া ক্ষয়-কাশাদি রোগে রুগ্ন থাকে তবে সেই রোগ গোপন করিয়া দুই তিন শত মুদ্রা পণ গ্রহণ করিয়া তাহার বিবাহ দেন, পরে সেই কন্যা দুই তিন মাসের মধ্যে মৃত্যু মুখে পতিত হয় এবং যাহারা কন্যা গ্রহণ করিয়াছিল তাহারা বিষম বিপদে পড়ে। এই বংশজদিগের বিবাহ বিষয়ক কতিপয় ঘটনা স্মরণ হইল, তাহা সর্ব্ব সাধারণের বিদিতার্থ এই স্থলে বর্ণনা করিতেছি। এক জনের নিকট শ্রবণ করিয়াছিলাম