পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।
২৯

মহর্ষি ছিলেন, তাঁহার শ্বেতকেতু নামে এক পুত্র ছিল, এক দিবস ঐ ঋষি পুত্র কলত্রে পরিবেষ্টিত হইয়া উপবিষ্ট আছেন, এমত সময় সেই স্থানে অন্য এক ব্যক্তি আসিয়া ঋষিপত্নীর হস্ত ধারণ পূর্ব্বক লইয়া চলিল। তদ্দর্শনে ঋষি কুমার জিজ্ঞাসা করিল। পিতঃ! আমার মাতাকে ঐ ব্যক্তি লইয়া চলিল কেন? পিতা উত্তর করিলেন, ব্রহ্মার সৃষ্টির এইরূপ নিয়ম, ইহা শ্রবণ করিয়া ঐ কুমার একেবারে হুতাশনের ন্যায় জ্বলিয়া উঠিলেন, এবং কহিতে লাগিলেন, ব্রহ্মা বেটা সৃষ্টি করিয়াছে, তাহার নিয়ম সংস্থাপন করে নাই, আমি তাহার সৃষ্টি নাশ করিয়া পুনর্ব্বার সৃষ্টি করিব, পরে সকলে তাঁহার এতাদৃশ ক্রোধ দর্শনে স্তুতিবাদ পূর্ব্বক কহিতে লাগিলেন, তুমি ব্রহ্মার সৃষ্টি নষ্ট করিয়া তাঁহার আবমাননা করিও না, তিনি সৃষ্টি করিয়াছেন, তুমি তাহার নিয়ম সংস্থাপন কর, এবং অদ্যাবধি তামার নিয়ম উল্লঙ্ঘন করিয়া যে কেহ কার্য্য করিবে, সে ধর্ম্ম হইতে পতিত হইবে ও লোক সমাজে অতি ঘৃণার পাত্র হইবে। পরে সেই ঋষিপুত্র এই নিয়ম সংস্থাপন করিলেন, যথা এই পর্য্যন্ত যে নারী আপন স্বামি ব্যতীত অপরকে স্পর্শ করিবে, তাহার উভয় কাল নষ্ট হইবে, এবং তাহাকে কেহ স্পর্শ করিলে সেও পতিত হইবে, পরে সেই নিয়ম অবলম্বন করিয়া একাল পর্য্যন্ত সকলেই চলিতেছে। জাতিভেদও প্রায় সেই রূপেই সৃষ্ট হইয়াছে। পুরাণে কথিত আছে যে, বলিরাজ-পুত্র বাণ মহাশয় অতি শৈব ছিলেন, তাঁহার রাজত্ব কালে বিবাহাদির কোন নিয়ম নির্দ্ধারিত ছিলনা, সুতরাং সকলেই যথেচ্ছাচারী হইয়া যাহা