পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৪৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।
৩৫

তাহার বিরুদ্ধে খড়্গ ধারণ করিয়াছিল, এবং ঐ কার্য্য সম্পাদককে কতই যে গ্লানি সহ্য করিতে হইয়াছিল, তাহা বলা যায় না। কিন্তু যত পরিমাণে কষ্ট সহ্য করিয়াছিলেন, বিবেচনা করিয়া দেখিলে সকলে বুঝিতে পারিবেন যে ঐ কার্য্য সম্পাদক মহাশয় তদ্ধিষয়ে কত দূর কৃতকার্য্য হইয়াছেন। আমি বিবেচনা করি যে পরিমাণে শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করিয়াছিলেন, এবং যে পরিমাণে অর্থ ব্যয় করিয়া ছিলেন, তাহার শতাংশের একাংশও ফল লাভ করিয়াছেন কি না সন্দহ। দেখ তথাপি এই বিধবা বিবাহ শাস্ত্রমত ও যুক্তিসিদ্ধ এবং এই বিধবাবিবাহ প্রচলিত না থাকা প্রযুক্ত লোকে কতই কষ্ট সহ্য করিতেছে, তথাপি সর্ব্বপ্রকারে কর্ত্তব্য যে এই বিধবা বিবাহ ইহাতে সহসা প্রবৃত হইতে পরাঙ্মুখ হইতেছে। দেখ ঐ কার্য্য সম্পাদক মহাশয় এতাদৃশ ক্ষমতাবান যে উহাঁর তুল্য দ্বিতীয় ব্যক্তি এই ভারতবর্ষে বর্ত্তমান আছেন কি না সন্দেহস্থল। বিধবাবিবাহের কথা দূরে থাকুক, অতি অনিষ্টকর এবং হৃদয় বিদারক সহমরণ ও শিকদিগের বালিকা হনন এবং পূর্ব্বদেশীয়দিগের সাগরে সন্তান বিসর্জ্জনাদি অতি গর্হিত কর্ম্ম সকল নিবারণ করিবার সময় ঐ নিবারকগণকে কতই যন্ত্রণা সহ্য করিতে হইয়াছিল এবং কত লোকই বে তাঁহাদিগের বিপক্ষতাচরণে প্রবৃত্ত হইয়াছিল তাহা বলা যায় না, অধিক কি কহিব ঐ সহমরণ উঠাইবার সময় তদ্বিপক্ষে এক সভাও প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, এবং এই কার্য্য সম্পাদন করিবার নিমিত্ত রাজা রামমোহন রায় মহাশয় আপন প্রাণ পর্য্যন্ত পণ করিয়াছিলেন। অদ্যাবধি ঐ মহাত্মার নামোল্লেখ করিলে আমাদিগের হিন্দু-