পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।
৩৭

পারিবেন না, অতএব যাহা সাধারণে প্রচলিত না হইল, তাহার নিমিত্ত এত ব্যস্ত হইবার প্রয়োজন কি? গোপনে কে কি না করিতেছেন, কিন্তু প্রকাশ হইলেই বিষম অত্যাচার বোধ হয়। জাতি, আচার, ব্যবহারাদি সকলই মনুষ্যের সৃষ্ট, যাহা দেখিতে উত্তম ও পদ্বতিক্রমে সংসার যাত্রা নির্ব্বাহ উপযোণী তাহাই কর্ত্তব্য, এই রূপ বিবেচনা করিয়া আমাদিগের পূর্ব্বতন মহাত্মাগণ এই নিয়ম আবলম্বন করিয়া লোক সকল চিরকাল অতিবাহিত করিবে এই মানসে উহার প্রতি দৃঢ় গ্রন্থি স্বরূপ এক এক অনুশাসন স্থাপন করিয়াছেন, সেই অনুশাসন ভয়ে ভীত হইয়া অদ্যাবধি হিন্দুগণ চলিতেছেন,অন্যান্য দেশে আমাদিগের মত অন্ন পানাদির উপর ঐ নিয়ম থাকুক বা না থাকুক, কুল মানাদির উপর আছে।

 বহু দিবস অতীত হইল, আমি এতদ্বিষয়ে কিঞ্চিৎ বলিবার ইচছা করিয়াছিলাম। কিন্তু বামা জাতি সহসা কোন বিষয়ে সাহস করিতে সমর্থ হই নাই, কারণ বু্দ্ধি বাম বশতঃ পাছে বিজ্ঞ সমাজে উপহাসের পাত্রী হই, এই আশঙ্কায় নিরস্ত ছিলাম, এক্ষণে আমার এই হীনাবস্থায় তাহার উল্লেখ করিলাম।

বাল্যবিবাহ।

 এই বাল্য-বিবাহ যে অতি অনিষ্টের মুল তাহা কাহার না বিদিত আছে, এবং এই বাল্য-বিবাহই আমাদিগের হীনাবস্থার এক প্রধান কারণ হইয়াছে, এই বাল্য বিবাহই আমাদিগের দুর্ভাগ্যের সোপান স্বরূপ! হে স্বদেশ হিতৈষী বন্ধুগণ! তোমরা অগ্রে এই বিষম অনিষ্টকর বিষয়টা নষ্ট