পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।

করিয়া সাধারণের কষ্ট দূর কর, পরে অন্য বিষয়ে হস্তার্পণ করিবেন। আহা! এই বাল্য-বিবাহের যে কত যন্ত্রণা তাহা কে না জানেন, এবং এই বিবাহের নিমিত্ত কাহাকেই বা দগ্ধ হইতে না হয়, এবং এই বঙ্গদেশীয় দিগের মধ্যে কোন ব্যক্তিই বা ইহার প্রতি বিরক্ত না হন। আহা! আমাদিগের দেশে যদি এই বাল্য-বিবাহ প্রচলিত না থাকিত, তাহা হইলে আমাদিগের এদেশ কত সুখজনক হইত তাহা বলা যায় না। পিতা মাতা আপনাদিগের নয়ন তৃপ্ত করণাশয়ে হউক অথবা এই বৃহৎ কর্ম্ম সমাধা করিয়া সুখ স্বচ্ন্দে সংসার যাত্রা নির্ব্বাহ করিবার নিমিত্তই হউক, আপন আপন বাকল বালিকাগণকে অতি অজ্ঞানাবস্থাতেই বিবাহ দিয়া একেবারে চিরকালের নিমিত্ত বিষম বিপদ্গ্রস্ত করিয়া দেন। এই বিবাহ পিতা মাতা প্রভৃতি আত্মীয়গণের কিছু কাল কিঞ্চিৎ নয়ন তৃপ্তিকর হয় বটে, কিন্তু ঐ বর কন্যাগণের একেবারে মাথা খাওয়া হয়, কারণ উহাদিগের অনভিমতে ঐ কার্য্য সম্পন্ন হইয়া থাকে, এবং উভয়ে বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে ভাল মন্দ বিবেচনা করিতে যখন সক্ষম হয়,তখন উহারা পরস্পরে দোষ গুণের বিষয় চিন্তা করিয়া অতিশয় বিষাদিত হইয়া চির কাল অতিবাহিত করে,হয়ত বরমূর্থতা ও পান দোষাদিতে মূর্তিমান হইয়া উভয় কুলস্থ বন্ধুগণকে দগ্ধ করিতে থাকেন, নয় ত ঐ কন্যা বরের মনোমত না হওয়া প্রযুক্ত বরই দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করেন। এইরূপে উভয়ে সমতুল্য না হওয়া প্রযুক্ত পরস্পরের মিত্রভাব হওয়া দূরে থাকুক বরং বিষম বৈরী ভাবই উপস্থিত হইয়া থাকে, এই পূকারে প্রায় সকল গৃহেই দম্পতী কলহ উপস্থিত হইয়া থাকে। আহা! ঐ দম্পতী-