পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।
৩৯

গণ যদ্যপি আপন মনোমত পতি ও পত্নী লাভ করিত,তবে আর তাহাদিগের সৌভাগ্যের পরিসীমা থাকিত না। আহা! কি অসঙ্গত কার্য্য, যে পিতা মাতার অথবা কোন এক জন আত্মীয়ের অভিমতানুসারেই ঐ কার্য্য নিষ্পন্ন হইয়া থাকে, এবং তাঁহারা কন্যা পাত্রাদির রূপ গুণাদির বিষয়ে সবিশেষ বিবেচনা না করিয়া কেবল তাহারা কি প্রকারে শ্রেষ্ঠ পতি ও সর্ব্ব গুণালঙ্কৃতা পত্নী লাভ করিবে এবং কি প্রকারেই বা আপন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বংশে তাহাদিগের বিবাহ দিয়া আত্ম মান গৌরব বৃদ্ধি করিবেন তাহারই উপায় চিন্তা করেন ও দেশ বিদেশে ঘটক প্রেরণ পূর্ব্বক পাত্র কন্যার অন্বেষণ করেন, ঘটকগণ অর্থ লালসায় মিথ্যা ও প্রতারণার দ্বারা তাহাদিগকে বঞ্চনা করিতে প্রবৃত্ত হয়, এবং এই ঘটনাতে কোন কোন স্থানে বিষম বিপত্তি উপস্থিত হইয়া থাকে, ঘটকগণ স্বভাবতই অতি চতুর হয়, চতুরগণ চাতুর্য্য দ্বারা কোন্‌ কার্য্য করিতেই বা অসমর্থ, তাহারা অনায়াসেই উভয় পক্ষকে মু্গ্ধ করিয়া খাঁটির সহিত মেকি ভেঁজাল দিয়া সর্ব্বনাশ ঘটায়। আহা! কি পরিতাপের বিষয়, পিতা মাতা স্বীয় পুত্র কন্যাগণের মতামত গ্রহণ না করিয়া তাহাদিগকে চিরবন্ধন রূপ উদ্বাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন, এবং তাহাদিগের ভবিষ্যৎ মঙ্গলামঙ্গলের বিষয় চিন্তা না করিয়া কেবল আপন মান গৌরবের উপরই লক্ষ করেন। এই স্থলে বক্তব্য এই যে পরস্পর ঐক্য পূর্ব্বক উদ্বাহ বন্ধনে বদ্ধ হওয়া দূরে থাকুক, যদ্যপি জনক জননী ও অন্যান্য সুহৃদগণ বিশেষ বিবেচনা পূর্ব্বক স্বচক্ষে পাত্র কন্যা দর্শন করিয়া তাহাদিগের স্বভাব ও সৌন্দর্য্যের