পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।

প্রতি সবিশেষ দৃষ্টি করিয়া তাহাদিগের সমতুল্য পাত্র কন্যাগণের সহিত বিবাহ দেন এবং ঘটকালিরূপ হাড়কালিকর বিষয়টী রহিত করেন, তবে আর আমাদিগের সৌভাগে্যের পরিসীমা থাকে না। পূরেই বলা গিয়াছে যে উভয়ে সর্ব্বাংশে তুল্য না হইলে কখনই কোন বিষয়ে ঐক্য হইবার সম্ভাবনা নাই, দম্পতীর মধ্যে এক জন উত্তম অপর জন অধম হইলে একের প্রতি অন্যের তাচ্ছিল্য করিবার অধিক সম্ভাবনা, অতএব যে স্থলে দম্পতীর মধ্যে একের প্রতি অন্য অবজ্ঞা করিল সে স্থলে কি প্রকারে তাহারা অকৃত্রিম স্নেহে ও যথার্থ প্রণয়ে বদ্ধ হইবে এবং সেই প্রণয় বিরহ স্থলেই বা তাহারা কি প্রকারে আমরণ একতরে সহবাস করিতে সমর্থ হইবে, এবং তাহারা সেই বিষম পাশে বদ্ব হওত যাবৎ জীবন অতি ভীষণ ন্ত্রণা কি প্রকারেই বা সহ্য করিতে সমর্থ হইবে, এই দম্পতীর মধ্যে যদ্যপি স্বামী নিকৃষ্ট ও ভার্য্যা উৎকৃষ্টা হয়, তবে ভার্য্যার আর দুঃখের পরিসীমা থাকে না, যদি স্ত্রী স্বর্গ-বিদ্যাধরী সদৃশ সর্ব্বাঙ্গ সুন্দরী কিন্তু তাহার স্বামী অতিশয় কুরূপ ও বিকলাঙ্গ হয় আথবা নানাবিধ মাদক দ্রব্য সেবনে মত্ত ও বেশ্যাসক্ত হয়, তবে তদ্বণিতা যে কত দূর পরিমাণে সৌভাগ্য শালিনী হয়েন তাহা বলা যায় না, কিন্তু পুরুষ অতি কুৎসিত কদাকার হইয়াও যদ্যপি সৎচরিত্র বু্ধিমান ও সর্ব্ব গুণে গুণবান হয়েন, তবে তিনি পরম রূপাধার যে রতিপতি তদপেক্ষায়ও শোভমান হয়েন, কিন্তু যদ্যপি ভার্য্যা নিকৃষ্ট এবং তাহার স্বামী সর্ব্বাংশে শ্রষ্ঠে হয়েন, তবে সেই স্বামি অপেক্ষা ঐ ভার্য্যেরই মনোবেদনা অধিক হইয়া থাকে, কারণ