পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা ।

যাঁহারা পরম জ্ঞানী ও বিকার বিহীন হয়েন, তাঁহারা অগত্যা সেই কুরূপা বণিতাতেই সন্তুষ্ট হইয়া সংসার যাত্রা নির্ব্বাহ করিয়া থাকেন, কোন কোন মহাত্মাগণকে স্বীয় কুরূপা কামিনীতেই বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করিতে দেখা যায় বেটে কিন্তু ঐ নারীর পক্ষে উহা উপহাসজনক হয়, সেই নিমিত্ত সে তাহাতে সন্তুষট না হইয়া বরং অতিশয় অনুতাপিত হয়, অতএব বাল্য-বিবাহ যে অতি অনর্থের মূল তাহা পদে পদেই প্রতীয়মান হইতেছে। এই বাল্য বিবাহ নিবারণ না করিলে কোন প্রকারেই আমাদিগের দেশে সুখোন্নতি হইবার আর উপায়ান্তর নাই, এবং এই বাল্য-বিবাহের অভাব না হইলে কখনই দম্পতীর সন্তাব হইবারও স্ভাবনা নাই, এই বাল্য বিবাহ সত্ত আমাদিগের দেশ হইতে বিদ্যাহীনতা যে বিষম দোষ তাহারও নিবারণ হইবে না, এবং এই বাল্য বিবাহের অভাব না হইলে বালিকাগণের অসহ্য বৈধব্য যন্ত্রণা হইতে মুক্ত হইবারও আর দ্বিতীয় উপায় নাই, এবং এই বাল্য বিবাহই বঙ্গদেশীয়গণের দুর্ব্বলতার এক প্রধান কারণ স্বরূপ হইয়াছে। এই বাল্য বিবাহ জন্য কোন কোন পুরুষ যোড়শ বা সপ্তদশ বর্ বয়ঃ প্রাপ্ত না হইতেই পুত্রের পিতা হইয়া বসেন, এবং বিদ্যা হীনতা প্রযুক্ত অর্থ উপার্জ্জন করণে অসমর্থ হইয়া সুত সুতা বনিতা প্রভৃতির ভরণ পোষণের নিমিত্ত লালাইত হয়েন, এবং কোন কোন স্থানে দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ বর্ষীয়া মহিলা পুত্রবতী হইয়া বিষম বিপদগ্রস্ত হন, হয় ত প্রসব ক্ষেত্রেই সন্তান সহিত লোকযাত্রা সম্বরণ করিয়া উভয় কুলস্থ আত্মীয় গণকে অপার শোকার্ণরে মগ্ করেন, কেহ বা আপনি পরি-