পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।
৫১

এবং ঐ বধূগণের অণুপ্রমাণ দোষ দর্শন করিলে পর্ব্বত পরিমাণে বৃহৎ করিয়া তোলেন। কিন্তু স্বীয় পুত্র কন্যাগণ যদি গুরুতর দোষে দূষিত হয় ও সর্ব্ব বিষয়ে অকর্ম্মণ্য হয়, তথাপি তাহারা তাহারদিগের সেই সমুদ্র সদৃশ অলঙ্ঘনীয় দোষ সমূহকে গোস্পদ তুল্য অতি ক্ষুদ্র জ্ঞান করিয়া অগ্রাহ্য করেন। তাঁহারা বধূগণের প্রতি কিছুমাত্র স্নেহ প্রকাশ করেন না, কিন্তু বধূগণ তাঁহাদের প্রতি মাতাপেক্ষা স্নেহ ও অচলা ভক্তি না করিলে সাতিশয় বিরক্তি প্রকাশ করিয়া থাকেন। আহা! কি ভ্রান্তিমূলক কার্য্য, তাঁহাবা একবার ভ্রমেও বিবেচনা করিয়া দেখেন না যে ঐ অবলা বালাগণের প্রতি কিরূপ অন্যায় ব্যবহার করেন, আর স্বীয় সন্তান সন্ততিগণের প্রতিই বা কত দূর পরিমাণে স্নেহ প্রকাশ করিয়া থাকেন ও কত প্রযত্ন সহকারে তাহাদিগকে লালন পালন করেন। কিন্তু বধূগণের প্রতি তাহার বিপরীতাচরণ করিয়া কি প্রকারে সেই স্নেহের প্রত্যাশা করেন? বধূগণ কি প্রকারে তাঁহাদিগের প্রতি মাতার ন্যায় স্নেহ করিতে সমর্থ হইবে। অগ্রে মাতা সন্তানদিগকে বহু যত্ন সহকারে লালন পালন করেন, পরে সন্তানগণ সেই যত্নে বর্দ্ধিত হইয়া মাতার প্রতি যত্ন ও ভক্তি প্রকাশ করিতে শিখে, কিন্তু শ্বশ্রূগণ বধূগণের প্রতি কিছু মাত্র স্নেহ প্রকাশ না করিয়া কি প্রকারে মাতৃভক্তির প্রার্থনা করেন? দেখ যদি কোন পাষাণ হৃদয়া মাতা সদ্যঃ প্রসূত সন্তানকে পরিত্যাগ করে, এবং সেই শিশু যদ্যপি অন্য দ্বারা প্রতিপালিত ও বর্দ্ধিত হইয়া সেই গর্ব্ভধারিণীর সহিত সাক্ষাৎ করে, আর জননী যদি তাহাকে স্বীয় পুত্র বলিয়া যত্ন প্রকাশ করেন, তবে সেই