পাতা:হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা - কৈলাসবাসিনী দেবী.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হিন্দু মহিলাগণের হীনাবস্থা।
৫৭

অগ্ন্যুৎপাদক প্রস্তর সদৃশ ব্যবহার সমুহকে একেবারে সমুলে নির্ম্মূল করিয়া সর্ব্ব সাধারণকে সুখী কর।

 পূর্ব্বেই লিখিত হইয়াছে যে ভাশুর-পত্নী ও দেবর-পত্নীগণের ব্যবহার-দোষেই ভ্রাতৃ বিচ্ছেদ উপস্থিত হইয়া থাকে, সেই নিমিত্ত তাহাদিগের ব্যবহার গুলি এই স্থলে প্রকাশ করিতে বাধ্য হইলাম। ইহারা স্বভাবতই অতি বিদ্বেষ-পরায়ণা হইয়া পরস্পরের প্রতি কুব্যবহার করিয়া থাকে, এবং একের অভ্যুদয়ে অন্য অতিশয় অনুতাপিত হয়, ও উভয়ে স্ব স্ব প্রাধান্য সাধনের নিমিত্ত বিধিমতে চেষ্টা পায়, কিন্তু সেই প্রধানতা যে কি প্রকারে প্রাপ্ত হইবে তাহার কোন সদুপায় চিন্তা করে না, এই নিমিত্ত তাহাদিগের কিছু মাত্র ঐক্য হয় না। এই দুর্জ্জয় বৈরভাব যে কি প্রকারে উৎপন্ন হয় তাহার যথার্থ তত্ত্ব কেহই প্রাপ্ত না হইয়া কেবল অনুভব দ্বারা অনুমান করে যে, শ্বশুর শ্বশ্রূগণ উহাদিগের মধ্যে একের প্রতি অনুরাগ অন্যের প্রতি বিরাগ প্রকাশ করেন, এই জন্য তাহাদিগের হৃদয়ে এই বিদ্বেষ ভাবের আবির্ভাব হয়। এরূপ হওয়া সম্ভবও বটে; অনেকে শ্বশ্রূ ও শ্বশুরগণ বর্ত্তমানে বাহ্যিক ঐক্য প্রকাশ করিয়া একত্রে বাস করে, কিন্তু তাঁহারা গত হইলেই স্বাতন্ত্র্য অবলম্বন করিয়া থাকে, অতএব ইহাদিগের মনান্তর হইবার আর অন্য কোন কারণ নাই, কেবল ইহাদিগের মনই এক প্রধান কারণ। হে বিদ্যোৎসাহী বন্ধুগণ! তােমরা যত্নবান হইয়া এই দীনভাবাপন্ন মহিলাগণের কঙ্করাবৃত ক্ষেত্র সদৃশ যে বন্ধুর অন্তঃকরণ তাহা বিদ্যারূপ