পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS R छ्व्ि লালসাঙ্গার থানায় উপস্থিত কোবুলে। শুনলুম, অনেক লোক সেখানে একত্ৰ হোয়ে স্বামীজির ঘ২পরোনাস্তি লাঞ্ছনা কোচ্ছে এবং সন্ন্যাসী জাতির উপর ও অনেক ভদ্রতা বিরুদ্ধ অপরাধ আরোপিত হোচ্ছে। অতএব এ অবস্থায় সেখানে গিয়ে দু৮ালটে শিষ্ট সম্ভাষণে পরিতৃপ্ত হওয়ার চেয়ে দোকানদারের মুখে মুখে সবিশেষ শুনাই কৰ্ত্তব্য মনে কোলুম। আরও এক কারণে সেখানে যাওয়া হয় নি ; শুনলুম চোর সন্ন্যাস, “পূরবিয়া” অর্থাৎ পূৰ্ব্বদেশবাসী ; পূৰ্ব্বদেশবাসীকে-কাশী, অযোধ্যা, বিহার, বাঙ্গাল। এই সকল দেশের অধিবাসীকে এ দেশের লোক পূরবিয়া বলে সুতরাং এই চোর সন্ন্যাসীর বাড়ী এই সকল দেশের কোথাও হইলে সে আমার এক দেশবাসী, কারণ আমরা দুজনেই পূরবিয়া; অকারণ কে এমন ‘চোরের জাত ভাই’’ হওয়ার অপবাদ ঘাড়ে কোন্ত্ৰে যায় ? বিশেষ আমরা যখন দোকানে বোসে চোরের গল্প শুনছিলুম, সেই সময় দু’তিনজন লোক, দেখে বোধ হোলে! পাঞ্জাবী, আমাদের দোকানেব সমুখ দিয়ে চোরের কথা বোলতে বোলতে যাচ্ছিল । আমাদের দেখেই হৌক, কি কথা প্রসঙ্গেই হউক, একজন 6८क्ष **उभाभ्, পূরবিয়া আদমী চোটা হায় !” কথাটা অমান বদনে হজম করা গেল ; একে বিদেশ, তাতে রাস্তার লোকের কথা , কথাবু আর কে প্রতিবাদ কোরবে ? কিন্তু দেখুলুম, হুজুগে এরা ও আমাদের চেয়ে কিছু কম নয়। দুপুর বেলা, যতক্ষণ ছিলুম, সকলের মুখেই সেই চোর সন্ন্যাসীর কথা ! বে ধ হোলো এরা এই পাহাড়ের মধ্যে এক ভাবেই জীবন কাটিয়ে কিছু নূতনত্বের অভাবে দারুণ বিমর্ষ হোয়ে পোড়েছিল, আজি এই এক ‘নূতন’ হুজুগ জোটায় এই ভয়ানক শীতে এরা দিন কতক একটু বেশ সজীবতা অনুভব কোবুবে । বেলা থাকতে থাকতেই সেখান হােতে বের হোয়ে তিন মাইল দূরে “বওলা’ চটিতে উপস্থিত হওয়া গেল। তখন সন্ধ্যা গাঢ় হোয়ে আসছিল ; আকাশ পরিষ্কার, দূরে দূরে দু’পাঁচটা বড় বড় মক্ষত্র ; পশ্চিম আকাশে